বিএসবিকে’র চেয়ারম্যান’র সাথে বেনাপোল সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় 

  • Update Time : ০৫:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 150
মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর)
.
বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ(বিএসবিকে) এর চেয়ারম্যান এর সাথে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এর বৈঠক অনুষ্ঠিত।
.
সোমবার(১৮ জানুয়ারী) বিকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান- কে,এম,তারিকুল ইসলাম কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান,বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি-মোঃ মফিজুর রহমান সজন,সাধারন সম্পাদক- এমদাদুল হক লতা এবং এসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
.
বৈঠকে চেয়ারম্যান মহোদয়কে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন এসোসিয়েশনের সভাপতি-মফিজুর রহমান সজন।
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল স্থল বন্দরের জায়গা সংকট এবং যানজট নিরসনের জন্য ইকুইপমেন্টস সহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান মহোদয় কে অবহিত করানো হয়।
.
তিনি আরও জানান,দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা না থাকার ফলে ভারতীয় পার্শ্বে প্রতিদিন প্রায় ৫/৭ হাজার গাড়ি মালামাল বোঝাই অবস্থায় ২০/২৫ দিন দাড়িয়ে থাকে। উক্ত গাড়ীর মধ্যে দৈনিক ১ হাজার গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করা প্রয়োজন কিন্তু সেখানে দৈনিক মাত্র ২৫০-৩০০ গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাকি গাড়ি আসতে না পারার কারনে আমদানি কারকদেরকে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ ইন্ডিয়ান রুপি ডেমারেজ দিতে হয়,অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশ পার্শ্বেও জায়গা এবং ক্রেন ফরকলিফ্ট না থাকার কারনে গোডাউন গুলোয় মালামাল আনলোডের অপেক্ষায় ৮/১০ দিন দাড়িয়ে থাকে।
.
যে কারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকট এবং ক্রেন/ফরকলিফ্ট অবকাঠামো নিয়ে খুবই অসন্তষ্ঠ। অপরদিকে,যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভারত হতে আমদানিকৃত ট্রাক,চেসিস,বাস এবং অন্যান্য নতুন গাড়ির জন্য ২৫ একর জায়গা অধিগ্রহন করা হয়েছে,এ কাজের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যাপারটিও চেয়ারম্যান এর নিকট তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও বন্দরের অন্যান্য সকল বিষয়াদি নিয়েও বৈঠকে মতবিনিময় করা হয়।
.
বিএসবিকে’র চেয়ারম্যান কে,এম,তারিকুল ইসলাম সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি এ প্রসংগে বন্দর ব্যবস্থাপনায় সরকারের দুরদর্শী চিন্তা এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। বানিজ্য সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারী সকল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন  বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি- শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি- খায়রুজ্জামান মধু, কামাল উদ্দিন শিমুল, যুগ্ম সম্পাদক- জামাল হোসেন ও মহাসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ নাসির উদ্দিন, বন্দর সম্পাদক- শাহাবুদ্দিন, চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- ফারুক হোসেন উজ্জল , সার্চ চেম্বার কমিটির পোর্ট সেক্রেটারি- মতিউর রহমান মতি, সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ  এ সোসিয়েশনের সভাপতি- মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক- সাজেদুর রহমান,প্রমূখ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএসবিকে’র চেয়ারম্যান’র সাথে বেনাপোল সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় 

Update Time : ০৫:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর)
.
বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ(বিএসবিকে) এর চেয়ারম্যান এর সাথে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এর বৈঠক অনুষ্ঠিত।
.
সোমবার(১৮ জানুয়ারী) বিকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান- কে,এম,তারিকুল ইসলাম কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান,বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি-মোঃ মফিজুর রহমান সজন,সাধারন সম্পাদক- এমদাদুল হক লতা এবং এসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
.
বৈঠকে চেয়ারম্যান মহোদয়কে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন এসোসিয়েশনের সভাপতি-মফিজুর রহমান সজন।
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল স্থল বন্দরের জায়গা সংকট এবং যানজট নিরসনের জন্য ইকুইপমেন্টস সহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান মহোদয় কে অবহিত করানো হয়।
.
তিনি আরও জানান,দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা না থাকার ফলে ভারতীয় পার্শ্বে প্রতিদিন প্রায় ৫/৭ হাজার গাড়ি মালামাল বোঝাই অবস্থায় ২০/২৫ দিন দাড়িয়ে থাকে। উক্ত গাড়ীর মধ্যে দৈনিক ১ হাজার গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করা প্রয়োজন কিন্তু সেখানে দৈনিক মাত্র ২৫০-৩০০ গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাকি গাড়ি আসতে না পারার কারনে আমদানি কারকদেরকে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ ইন্ডিয়ান রুপি ডেমারেজ দিতে হয়,অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশ পার্শ্বেও জায়গা এবং ক্রেন ফরকলিফ্ট না থাকার কারনে গোডাউন গুলোয় মালামাল আনলোডের অপেক্ষায় ৮/১০ দিন দাড়িয়ে থাকে।
.
যে কারনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকট এবং ক্রেন/ফরকলিফ্ট অবকাঠামো নিয়ে খুবই অসন্তষ্ঠ। অপরদিকে,যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভারত হতে আমদানিকৃত ট্রাক,চেসিস,বাস এবং অন্যান্য নতুন গাড়ির জন্য ২৫ একর জায়গা অধিগ্রহন করা হয়েছে,এ কাজের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যাপারটিও চেয়ারম্যান এর নিকট তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও বন্দরের অন্যান্য সকল বিষয়াদি নিয়েও বৈঠকে মতবিনিময় করা হয়।
.
বিএসবিকে’র চেয়ারম্যান কে,এম,তারিকুল ইসলাম সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি এ প্রসংগে বন্দর ব্যবস্থাপনায় সরকারের দুরদর্শী চিন্তা এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। বানিজ্য সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারী সকল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন  বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি- শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি- খায়রুজ্জামান মধু, কামাল উদ্দিন শিমুল, যুগ্ম সম্পাদক- জামাল হোসেন ও মহাসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ নাসির উদ্দিন, বন্দর সম্পাদক- শাহাবুদ্দিন, চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক- ফারুক হোসেন উজ্জল , সার্চ চেম্বার কমিটির পোর্ট সেক্রেটারি- মতিউর রহমান মতি, সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ  এ সোসিয়েশনের সভাপতি- মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক- সাজেদুর রহমান,প্রমূখ।