সিরিয়ায় বাসে হামলায় নিহত ২৮

  • Update Time : ১২:০২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 192
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি বাসে হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সেনাসদস্য বলে খবর এলেও তার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সিরিয়ার দ্যয় আল-জৌর প্রদেশে এ হামলা চালানো হয়। এই প্রতিবেদনে বেসমারকি নাগরিক নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সূত্রসহ সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা বলছে, বাসটিতে সেনাসদস্যরা ছিলেন।

তবে এখনও এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এ হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করে বলছে, এতে ৩৭ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।

সূত্রকে উদ্বৃত করে সংস্থাটি বলছে, সরকারপন্থী সেনাসদস্যদের বহনকারী তিনটি বাস লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালিয়েছে আইএস সদস্যরা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনেও বাসে সিরীয় সৈন্যদের থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রাচীন নগর পালমিরার কাছে অবস্থিত এই শহরে প্রায়ই আইএস যোদ্ধা ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

২০১৪ সালের পর সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে ইরাকের পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আইএস। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সহায়তায় ৫ বছর যুদ্ধের পর আইএসের কব্জা থেকে এসব এলাকা উদ্ধার করা গেছে।

২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়া এবং ইরাকের কোনো কোনো অংশে আইএসে পরাজি ঘোষণা করা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

হামলা হয়েছে ইয়েমেনেও

ইয়েমেনের ঐক্যের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সৌদি আরব থেকে এডেন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বোমা ও বন্দুক হামলার লক্ষ্য হয়েছেন। বুধবার দেশটির নতুন সরকারের সদস্যদের বহনকারী বিমান সেখানে পৌঁছালে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ হয়। এতে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটলেও প্রধানমন্ত্রী মীন আব্দুল মালিকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা অক্ষত রয়েছেন।

এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিকে দায়ী করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, নতুন সরকারের সদস্যদের লক্ষ্য করে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে হুথি।

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে সৌদি আরব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সিরিয়ায় বাসে হামলায় নিহত ২৮

Update Time : ১২:০২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি বাসে হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সেনাসদস্য বলে খবর এলেও তার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সিরিয়ার দ্যয় আল-জৌর প্রদেশে এ হামলা চালানো হয়। এই প্রতিবেদনে বেসমারকি নাগরিক নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সূত্রসহ সিরিয়ায় পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা বলছে, বাসটিতে সেনাসদস্যরা ছিলেন।

তবে এখনও এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এ হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করে বলছে, এতে ৩৭ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।

সূত্রকে উদ্বৃত করে সংস্থাটি বলছে, সরকারপন্থী সেনাসদস্যদের বহনকারী তিনটি বাস লক্ষ্য করে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালিয়েছে আইএস সদস্যরা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনেও বাসে সিরীয় সৈন্যদের থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রাচীন নগর পালমিরার কাছে অবস্থিত এই শহরে প্রায়ই আইএস যোদ্ধা ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

২০১৪ সালের পর সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে ইরাকের পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আইএস। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সহায়তায় ৫ বছর যুদ্ধের পর আইএসের কব্জা থেকে এসব এলাকা উদ্ধার করা গেছে।

২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়া এবং ইরাকের কোনো কোনো অংশে আইএসে পরাজি ঘোষণা করা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

হামলা হয়েছে ইয়েমেনেও

ইয়েমেনের ঐক্যের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সৌদি আরব থেকে এডেন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বোমা ও বন্দুক হামলার লক্ষ্য হয়েছেন। বুধবার দেশটির নতুন সরকারের সদস্যদের বহনকারী বিমান সেখানে পৌঁছালে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ হয়। এতে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটলেও প্রধানমন্ত্রী মীন আব্দুল মালিকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা অক্ষত রয়েছেন।

এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিকে দায়ী করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, নতুন সরকারের সদস্যদের লক্ষ্য করে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে হুথি।

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে সৌদি আরব।