অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে: মির্জা ফখরুল

  • Update Time : ০৮:৩৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 184
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে উল্লেখ করে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবেই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। একদলীয় সরকার কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশে লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ব্যাংক লুট করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে গণতন্ত্র, কাজ করে উল্টো, তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। এ জন্য সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করিয়ে জনগণের সরকারকে নিয়ে আসবো।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সারাদেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এই থেকে মুক্ত হতে হলে এই অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে: মির্জা ফখরুল

Update Time : ০৮:৩৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে উল্লেখ করে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবেই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। একদলীয় সরকার কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশে লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ব্যাংক লুট করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে গণতন্ত্র, কাজ করে উল্টো, তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। এ জন্য সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করিয়ে জনগণের সরকারকে নিয়ে আসবো।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সারাদেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এই থেকে মুক্ত হতে হলে এই অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।