রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় প্রথম ‘মহামারি প্রস্তুতি দিবস’। এখন থেকে প্রতিবছর ২৭শে ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় আধানম বলেছেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী, এটাই শেষ মহামারি নয়। মহামারি আমাদের জীবনের অঙ্গ। এই মহামারি মানুষ, পশু এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিবেশ, পশুপাখি সবকিছুর ওপর যে বিপদ নেমে আসছে, সেটা আগে প্রতিরোধ করতে হবে।’
মহামারি রুখতে বিশ্ব যে পন্থা অবলম্বন করছে, তাতেও সন্তুষ্ট নন আধানম। তিনি বলেন, ‘যখনই কোনো মহামারি আঘাত হানে, আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করি। তারপর থেমে যায়। ওই মহামারির কথা ভুলে যাই এবং পরবর্তি মহামারির সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি নিই না। এটা বিপজ্জনক অদূরদর্শিতা এবং কেন এটা হয়, বোঝা কঠিন।’
আধানম আরও বলেন, এবার সময় এসেছে এই পরিস্থিতি বদলানোর। তিনি বিশ্বের সব দেশের কাছে অনুরোধ করেছেন, ‘দয়া করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও বেশি বিনিয়োগ করুন। বিশেষ করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যে। যাতে আমাদের সন্তান এবং তাদের সন্তানরা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগাড় করতে পারে।’ তিনি বলেন, গত ১২ মাসে বিশ্ব বদলে গেছে। মহামারির প্রভাব শুধু রোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সমাজ ও অর্থনীতির ওপরও পড়েছে। তাই এই মহামারির কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।