‘তথাকথিত ফতোয়াবাজদের শুধু প্রতিরোধ নয়, নির্মূল করব’
- আপডেটের সময়: ১১:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / 246
তথাকথিত ফতোয়াবাজদের শুধু প্রতিরোধ নয়, নির্মূল করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথাকথিত ফতোয়াবাজরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে। তারা বিভ্রান্তিমূলক ফতোয়া দিয়ে বাংলাদেশকে বিপথগামী করতে চায়। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও এগিয়ে যাওয়া থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলে। তাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। তাদেরকে (তথাকথিত ফতোয়াবাজদের) শুধু প্রতিরোধ নয়, নির্মূল করব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করব, এটা আমাদের বিজয় দিবসের শপথ।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জিয়া-এরশাদ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে পারেনি বলে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারেনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা অনেকভাবে চেষ্টা করেছে ইতিহাসকে পাল্টে দেয়ার জন্য। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করেনি। তারা পাকিস্তানের ভাবধারায় দেশ পরিচালিত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত দিয়েছিল। ইতিহাসকে অন্য ধারায় পাল্টে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারিতেও উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হয়নি। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান; সকল ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে দেশকে বিশ্বের কাছে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বক্তব্য দেন।



























