স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

  • আপডেটের সময়: ০৬:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 268

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

স্বাধীন দেশ হিসেবে অভ্যুদয়ের ৫০ বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে জনতার ঢল। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে আত্মত্যাগ করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনগণ।

দিনটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিবরা বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর থেকেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

করোনার প্রকোপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্য করার মতো।

এরপর স্মৃতিসৌধের ফটক সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য কৃষক লীগ, যুবলীগ, এফবিসিসিআই, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাসদ, বাসদ ও ডক্টর এসোসিয়েশন অব ড্যাব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

সৌধ প্রাঙ্গণে প্রেবশ করতেই জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহার করে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। মাস্ক ছাড়া কোনভাবেই কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয় ঘটে।

ট্যাগ :

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

আপডেটের সময়: ০৬:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

স্বাধীন দেশ হিসেবে অভ্যুদয়ের ৫০ বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে জনতার ঢল। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে আত্মত্যাগ করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনগণ।

দিনটি উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিবরা বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর থেকেই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

করোনার প্রকোপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্য করার মতো।

এরপর স্মৃতিসৌধের ফটক সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের। বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য কৃষক লীগ, যুবলীগ, এফবিসিসিআই, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাসদ, বাসদ ও ডক্টর এসোসিয়েশন অব ড্যাব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

সৌধ প্রাঙ্গণে প্রেবশ করতেই জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহার করে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। মাস্ক ছাড়া কোনভাবেই কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

বিজয় দিবস উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয় ঘটে।