বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: কচুয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ
- আপডেটের সময়: ০৩:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
- / 261
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
.
সোমবার (৭ডিসেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
.
বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সোহাগের নেতৃত্বে রহিমানগর শাহজালাল শপিং কম্পেক্স এর সামনে হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মিলিত হয়ে সমাবেশ করেন।
.
সমাবেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সবুজ এবং বর্তমান আহ্বাহক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শুভজিৎ দাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সোহাগ।
.
এ সময়ে মোবাইল কলের মাধ্যমে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর ১ আসনের(কচুয়া) সংসদ সদস্য ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড.সেলিম মাহমুদ।
.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সোহাগ বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে একটি দেশ, বঙ্গবন্ধু মানে একটি পতাকা, বঙ্গবন্ধু মানে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। যেই বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এই জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পায়েছে। আজ সেই মহান নেতার ভাষ্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
.
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার সংগ্রামকে মেনে নেয় নাই, যারা বঙ্গবন্ধুকে মেনে নেয় নাই,তথা কথিত সেই জামাত শিবির এবং মৌলবাদী শক্তি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা আজ উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভাষ্কর্যের উপর হামলা করছে। আমরা তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি।
.
উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক ও ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, ভাষ্কর্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায়, সাহিত্যিক কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে স্থাপিত হয়। কিন্তু এই সময়ে জামাত, শিবির এবং উগ্র মৌলবাদীরা সরাসরি আন্দোলনে নামার সুযোগ না পেয়ে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে আঘাত দেয়ার মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
.
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব প্রাঞ্জল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সম্মানে কেউ আঘাত করলে পুরো আওয়ামী পরিবার তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা থেমে থাকবে না। এখনও সময় আছে মামুন গংরা জাতীর কাছে ক্ষমা চান। জাতী যদি আপনাদের ক্ষমা করেন তবে আমরাও ক্ষমা করব।
.
এছাড়াও সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ১০নং গোহট উত্তর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাক শাহজাহান হোসেন,৯ং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি শাহ আলম সৌদাগর, ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সেলিম মিয়া,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রিন্স মানিক,উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বাহক কমিটির সদস্য ফয়সাল সিকদার।
.
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিল ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহরিয়া,সদস্য তাজুল ইসলাম(সাবেক) মানিক হোসেন, জহির,১২নং ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ। ১২নং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান।
.
রহিমানগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুন্নবী সাগর,কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সাকিব,চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বাবু সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ট্যাগ :



























