‘মেগা প্রকল্পে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ফাইল আটকে নেই’

  • Update Time : ০৭:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • / 189
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কোন ফাইল আটকে নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
.

সোমবার (৫ অক্টোবর), সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কের গুণগত মান নিশ্চিত করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ নিয়ে দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই আর। কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ না করে মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ানো হচ্ছে সরকারের। জনভোগান্তি বাড়ছে, ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে টালবাহানা চলছে। সংশ্লিষ্টদের সুসমন্বয়ের অভাবও রয়েছে, কর্মকর্তারা কর্মস্থল যেতে চান না, শুধু ঢাকায় থাকতে চান। প্রকল্প কাজ শেষ করার পর প্রকল্প স্থান নোংরা রাখা যাবে না। কোন কাজে কেউ বাধা দিলে মন্ত্রীকে (আমাকে) জানাতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, রাজধানীতেও মন্ত্রণালয়ের কোন ফাঁকা জায়গা থাকলেই সেখানে নানা প্রকল্পের ভবন করা হচ্ছে। এটা আর করা যাবে না। সড়ক ও জনপথের নতুন ভবনের সামনে যথেষ্ট জায়গা আছে, সেখানে যেন করা হয়। বিআরটিসি-বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া এ দুটি সংস্থার প্রধানদের বলা হচ্ছে, যেন আর কোন নিয়ম না হয়। সড়ক নিরাপত্তার কাজগুলো সন্তোষজনক নয়। শুধু যেন ‘নিরাপদ সড়ক দিবস’ (২২শে অক্টোবর) পালনে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না থাকে। সম্ভব হলে আসছে ২২ অক্টোবরের আগে যতটুক সম্ভব, সড়কগুলো নিরাপদ করতে হবে।

সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্পে অযৌক্তিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন না দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো জানান, ঢাকায় যেসব প্রকল্প নির্ধারণ করা আছে, মূলত মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট সম্পর্কিত। এগুলো ছাড়া আপাতত নতুন কোন প্রকল্প দরকার নেই। এসময় পরিবহণ ধর্মঘটকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


‘মেগা প্রকল্পে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ফাইল আটকে নেই’

Update Time : ০৭:২৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কোন ফাইল আটকে নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
.

সোমবার (৫ অক্টোবর), সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কের গুণগত মান নিশ্চিত করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ নিয়ে দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই আর। কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ না করে মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ানো হচ্ছে সরকারের। জনভোগান্তি বাড়ছে, ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে টালবাহানা চলছে। সংশ্লিষ্টদের সুসমন্বয়ের অভাবও রয়েছে, কর্মকর্তারা কর্মস্থল যেতে চান না, শুধু ঢাকায় থাকতে চান। প্রকল্প কাজ শেষ করার পর প্রকল্প স্থান নোংরা রাখা যাবে না। কোন কাজে কেউ বাধা দিলে মন্ত্রীকে (আমাকে) জানাতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, রাজধানীতেও মন্ত্রণালয়ের কোন ফাঁকা জায়গা থাকলেই সেখানে নানা প্রকল্পের ভবন করা হচ্ছে। এটা আর করা যাবে না। সড়ক ও জনপথের নতুন ভবনের সামনে যথেষ্ট জায়গা আছে, সেখানে যেন করা হয়। বিআরটিসি-বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া এ দুটি সংস্থার প্রধানদের বলা হচ্ছে, যেন আর কোন নিয়ম না হয়। সড়ক নিরাপত্তার কাজগুলো সন্তোষজনক নয়। শুধু যেন ‘নিরাপদ সড়ক দিবস’ (২২শে অক্টোবর) পালনে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না থাকে। সম্ভব হলে আসছে ২২ অক্টোবরের আগে যতটুক সম্ভব, সড়কগুলো নিরাপদ করতে হবে।

সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্পে অযৌক্তিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন না দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো জানান, ঢাকায় যেসব প্রকল্প নির্ধারণ করা আছে, মূলত মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট সম্পর্কিত। এগুলো ছাড়া আপাতত নতুন কোন প্রকল্প দরকার নেই। এসময় পরিবহণ ধর্মঘটকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।