বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টা: তথ্যমন্ত্রী

  • Update Time : ০৫:০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • / 225

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্যমন্ত্রীও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টার অংশ, অন্য কোনও কিছু নয়।

রবিবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই’-এর শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি’র মানববন্ধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বিসিটিআই’র শিক্ষকদের মধ্যে ম. হামিদ, গাজী রাকায়েত, পঙ্কজ পালিত, সাজ্জাদ জহির, শামীম আকতার, জাহিদুল রহিম অঞ্জন, ফরিদুর রহমান ও কেরামত আলী সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যাকাণ্ডের পরপরই ১৯৭৫-৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিদেশে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।  সম্প্রতি ক্যাপ্টেন মাজেদ ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগেও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে স্পষ্ট বলে গেছেন। আরও অনেক দলিল-দস্তাবেজ প্রমাণ করে যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। সেগুলো নানা তথ্য-উপাত্তে বেরিয়ে আসে। এগুলো উপস্থাপনের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই। জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছিলেন, সেগুলো যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের (বিএনপি’র) গাত্রদাহ হচ্ছে।’ একারণেই বিএনপি অফিসের সামনে জিয়াউর রহমানের এই অপকর্ম ঢাকার জন্য তাদের মানববন্ধন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র নষ্ট করছে’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত বিরুদ্ধাচারীদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও একধাপ এগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণকারী। স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ ও গণহত্যায় অংশ নেওয়া জামায়াতে ইসলামির সদস্যদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন তিনি। সুতরাং গয়েশ্বর বাবু কী অবস্থায় কথা বলেছেন সেটিই প্রশ্ন।’

করোনায় আ. লীগের ৫৫০ নেতাকর্মীর মৃত্যু

শনিবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা সম্পর্কে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য এবং যেসব জায়গায় সম্মেলন হয়েছে, সেখানকার কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার জন্য এবং যেখানে কোনও সম্মেলন হয়নি, সেখানে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’  তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে ৫শ’ নেতাকর্মী এই করোনাভারাইসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ  হাজার হাজার নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাকালে আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের মানুষের পাশে ছিল, যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থাকবে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’

চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল

তথ্যমন্ত্রী এ সময় জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো চালু করা, চালু সিনেমা হল সংস্কার এবং নতুন সিনেমা হল তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এক  হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে সিনেমা শিল্পে একটা বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, ‘অনেক বন্ধ সিনেমা হল চালু হবে। চালু সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টা: তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৫:০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্যমন্ত্রীও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র মানববন্ধন জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ঢাকার অপচেষ্টার অংশ, অন্য কোনও কিছু নয়।

রবিবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই’-এর শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি’র মানববন্ধন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বিসিটিআই’র শিক্ষকদের মধ্যে ম. হামিদ, গাজী রাকায়েত, পঙ্কজ পালিত, সাজ্জাদ জহির, শামীম আকতার, জাহিদুল রহিম অঞ্জন, ফরিদুর রহমান ও কেরামত আলী সভায় অংশ নেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যাকাণ্ডের পরপরই ১৯৭৫-৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বিদেশে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।  সম্প্রতি ক্যাপ্টেন মাজেদ ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগেও জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে স্পষ্ট বলে গেছেন। আরও অনেক দলিল-দস্তাবেজ প্রমাণ করে যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। সেগুলো নানা তথ্য-উপাত্তে বেরিয়ে আসে। এগুলো উপস্থাপনের জন্য আমি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই। জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছিলেন, সেগুলো যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের (বিএনপি’র) গাত্রদাহ হচ্ছে।’ একারণেই বিএনপি অফিসের সামনে জিয়াউর রহমানের এই অপকর্ম ঢাকার জন্য তাদের মানববন্ধন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র নষ্ট করছে’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত বিরুদ্ধাচারীদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও একধাপ এগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণকারী। স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ ও গণহত্যায় অংশ নেওয়া জামায়াতে ইসলামির সদস্যদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন তিনি। সুতরাং গয়েশ্বর বাবু কী অবস্থায় কথা বলেছেন সেটিই প্রশ্ন।’

করোনায় আ. লীগের ৫৫০ নেতাকর্মীর মৃত্যু

শনিবার (৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা সম্পর্কে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য এবং যেসব জায়গায় সম্মেলন হয়েছে, সেখানকার কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার জন্য এবং যেখানে কোনও সম্মেলন হয়নি, সেখানে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’  তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় সাড়ে ৫শ’ নেতাকর্মী এই করোনাভারাইসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ  হাজার হাজার নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাকালে আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের মানুষের পাশে ছিল, যতদিন করোনা থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থাকবে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’

চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল

তথ্যমন্ত্রী এ সময় জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো চালু করা, চালু সিনেমা হল সংস্কার এবং নতুন সিনেমা হল তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এক  হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে সিনেমা শিল্পে একটা বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, ‘অনেক বন্ধ সিনেমা হল চালু হবে। চালু সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে।