চুয়াডাঙ্গায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

  • Update Time : ১০:১৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • / 181
নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত কলেজছাত্র জুবায়ের হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা. বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের হারান মণ্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলি ও পিতম্বরপুর গ্রামের সবী শেখের ছেলে হাসান আলি।
.
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল সকালে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামের রশিদ ঢাকার সাভারের নরুল হকের ছেলে জুবায়ের মাহমুদকে বিয়ের দেয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গায় ডেকে নেয়। এরপর জুবায়ের চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে রশিদসহ ১০-১২ জন মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে জুবায়েরকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখেন।
.
২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে পুলিশ আলোকদিয়া গ্রামের একটি কবর থেকে জবায়ের লাশ উদ্ধার করে। জুবায়ের পিতা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
.
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সেকেন্দার আলি ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
.
দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা. বজলুর রহমান পলাতক একজনসহ অন্য তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
.
এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আমির হোসেন, ইমান আলি, নুসরাত জাহান প্রিয়া ও কবির হোসেন। এ মামলার প্রথম আসামি মারা গেছেন ও অন্য আসামি রশিদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চুয়াডাঙ্গায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

Update Time : ১০:১৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গার আলোচিত কলেজছাত্র জুবায়ের হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা. বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।

দণ্ডিতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের হারান মণ্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলি ও পিতম্বরপুর গ্রামের সবী শেখের ছেলে হাসান আলি।
.
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল সকালে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামের রশিদ ঢাকার সাভারের নরুল হকের ছেলে জুবায়ের মাহমুদকে বিয়ের দেয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গায় ডেকে নেয়। এরপর জুবায়ের চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে রশিদসহ ১০-১২ জন মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে জুবায়েরকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখেন।
.
২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে পুলিশ আলোকদিয়া গ্রামের একটি কবর থেকে জবায়ের লাশ উদ্ধার করে। জুবায়ের পিতা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
.
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সেকেন্দার আলি ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
.
দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহা. বজলুর রহমান পলাতক একজনসহ অন্য তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
.
এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আমির হোসেন, ইমান আলি, নুসরাত জাহান প্রিয়া ও কবির হোসেন। এ মামলার প্রথম আসামি মারা গেছেন ও অন্য আসামি রশিদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।