ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: কলেজ কর্তৃপক্ষের তদারকির ঘাটতি দেখছে কমিটি

  • Update Time : ০২:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • / 205

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিলেটের এমসি কলেজ পরিচালনায় কর্তৃপক্ষের তদারকির ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মতৎপর ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসে অপর্যাপ্ত সীমানাপ্রাচীর ও জনবলের অভাবের কারণেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ত্রুটি রয়েছে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এমসি কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে কমিটি।

সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ঘাটতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে তদন্ত কমিটি। তবে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ করেনি। তদন্ত কমিটি বলছে, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটি আরও যেসব সুপারিশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে– নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাসে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাতি স্থাপন ও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়মিত পরিদর্শন করা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক  ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল হাসান (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: কলেজ কর্তৃপক্ষের তদারকির ঘাটতি দেখছে কমিটি

Update Time : ০২:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিলেটের এমসি কলেজ পরিচালনায় কর্তৃপক্ষের তদারকির ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মতৎপর ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসে অপর্যাপ্ত সীমানাপ্রাচীর ও জনবলের অভাবের কারণেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ত্রুটি রয়েছে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এমসি কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে কমিটি।

সূত্র জানায়, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ঘাটতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে তদন্ত কমিটি। তবে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ করেনি। তদন্ত কমিটি বলছে, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটি আরও যেসব সুপারিশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে– নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাসে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাতি স্থাপন ও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়মিত পরিদর্শন করা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক  ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল হাসান (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।