বাজারে করোনার জীবাণু ধ্বংসের ডিভাইস

  • Update Time : ০২:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • / 156

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসের জন্য ‘সাইকোক্যান’ নামে একটি ডিভাইস বাজারে এসেছে। ভারতের বেসরকারি সংস্থা মেডউইন হেলথ কেয়ার ডিভাইসটি তৈরি করেছে। ডিভাইসটির পুরো নাম ‘স্কালিন হাইপার চার্জ করোনা ক্যানন’।

সংস্থার সিইও দেবাশিস বোস জানান, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধাপে ধাপে বসানো হবে এই ডিভাইস। এর কার্যকারিতা পছন্দ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের। এটি চালাতে বিদ্যুৎ খরচ হবে নামমাত্র। একটি বাল্ব জ্বলার মতো বিদ্যুতের খরচ হবে।

নির্মাণসংস্থার দাবি, একটি ডিভাইস ১০০০ ঘনমিটার এলাকাজুড়ে কাজ করতে পারে। ড্রামের মতো দেখতে ওই ডিভাইস থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রন ও ফোটন কণা রোগীর হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে নির্গত লালারসে থাকা করোনার জীবাণুকে নষ্ট করবে।

তাদের আরও দাবি, এই যন্ত্র কাছাকাছি থাকলে মাস্ক বা পিপিই না পরলেও ভয় থাকবে না।

এরইমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে এটি বসানো হয়েছে। প্রথমে বসানো হয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। পরবর্তীতে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং অ্যাপোলোয় বসানো হচ্ছে।

ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করে এমন প্রশ্নের উত্তরে সংস্থাটি জানায়, যন্ত্রটি প্লাগে দিয়ে সুইচ অন করলে এর ভেতর থেকে ইলেকট্রন ক্লাউড বের হতে থাকবে। পুরো প্রক্রিয়া শুরু হতে মিনিট ১৫ সময় লাগবে। কোভিড রোগীর ড্রপলেট থেকে বেরোনো করোনাভাইরাসের স্পাইককে নষ্ট করে দেবে এই ইলেকট্রন ক্লাউড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতোমধ্যেই এই যন্ত্রকে ছাড়পত্র দিয়েছে। ডিভাইসটির দাম কলকাতায় ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাজারে করোনার জীবাণু ধ্বংসের ডিভাইস

Update Time : ০২:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসের জন্য ‘সাইকোক্যান’ নামে একটি ডিভাইস বাজারে এসেছে। ভারতের বেসরকারি সংস্থা মেডউইন হেলথ কেয়ার ডিভাইসটি তৈরি করেছে। ডিভাইসটির পুরো নাম ‘স্কালিন হাইপার চার্জ করোনা ক্যানন’।

সংস্থার সিইও দেবাশিস বোস জানান, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধাপে ধাপে বসানো হবে এই ডিভাইস। এর কার্যকারিতা পছন্দ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মকর্তাদের। এটি চালাতে বিদ্যুৎ খরচ হবে নামমাত্র। একটি বাল্ব জ্বলার মতো বিদ্যুতের খরচ হবে।

নির্মাণসংস্থার দাবি, একটি ডিভাইস ১০০০ ঘনমিটার এলাকাজুড়ে কাজ করতে পারে। ড্রামের মতো দেখতে ওই ডিভাইস থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রন ও ফোটন কণা রোগীর হাঁচি, কাশি বা কথা বলার মাধ্যমে নির্গত লালারসে থাকা করোনার জীবাণুকে নষ্ট করবে।

তাদের আরও দাবি, এই যন্ত্র কাছাকাছি থাকলে মাস্ক বা পিপিই না পরলেও ভয় থাকবে না।

এরইমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে এটি বসানো হয়েছে। প্রথমে বসানো হয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। পরবর্তীতে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং অ্যাপোলোয় বসানো হচ্ছে।

ডিভাইসটি কীভাবে কাজ করে এমন প্রশ্নের উত্তরে সংস্থাটি জানায়, যন্ত্রটি প্লাগে দিয়ে সুইচ অন করলে এর ভেতর থেকে ইলেকট্রন ক্লাউড বের হতে থাকবে। পুরো প্রক্রিয়া শুরু হতে মিনিট ১৫ সময় লাগবে। কোভিড রোগীর ড্রপলেট থেকে বেরোনো করোনাভাইরাসের স্পাইককে নষ্ট করে দেবে এই ইলেকট্রন ক্লাউড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইতোমধ্যেই এই যন্ত্রকে ছাড়পত্র দিয়েছে। ডিভাইসটির দাম কলকাতায় ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।