মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন

  • Update Time : ০৬:৪১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
  • / 165

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের আওতায় র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব সেবা উদ্বোধন করেন।
.
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের সভাকক্ষে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
.
ডিজিটাইজেশনের ফলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেবাগ্রহীতাগণ নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তকরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্য সংশোধনসহ প্রায় সকল বিষয়ে অত্যন্ত সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতা ৫টি এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে (মাইগভ ওয়েব, মাইগভ অ্যাপ, ৩৩৩, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে) সম্পাদন করতে পারবেন। এটি শুধু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার পথে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।
.
ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে জানতে পারবেন কোথায়/কিভাবে/কখন সংশ্লিষ্ট পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর ফলে সেবাগ্রহীতা ও প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় কমে আসবে।
.
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাই গভ প্লাটফর্মে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথম মন্ত্রণালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরুর সম্মান অর্জন করায় আমরা আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ২০০৮ সালে তারই সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করে আর সেবার জন্য ঘুরতে হবে না। মন্ত্রী এ সফল কার্যক্রমের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
.
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সব জায়গায় প্রযুক্তির উপর গুরূত্বারোপ করে বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে দুর্নীতি দূর হবে এবং সেবার মান বাড়বে।
.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, এটুআই-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (ই-গভর্নেন্স) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দেওয়ান মো. আব্দুস সামাদ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরীসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.
এটুআই-এর চীফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-এ মাইগভের আওতায় র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম সম্পর্কিত’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন

Update Time : ০৬:৪১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের আওতায় র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব সেবা উদ্বোধন করেন।
.
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের সভাকক্ষে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
.
ডিজিটাইজেশনের ফলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেবাগ্রহীতাগণ নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তকরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্য সংশোধনসহ প্রায় সকল বিষয়ে অত্যন্ত সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতা ৫টি এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে (মাইগভ ওয়েব, মাইগভ অ্যাপ, ৩৩৩, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে) সম্পাদন করতে পারবেন। এটি শুধু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার পথে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।
.
ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে জানতে পারবেন কোথায়/কিভাবে/কখন সংশ্লিষ্ট পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর ফলে সেবাগ্রহীতা ও প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় কমে আসবে।
.
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাই গভ প্লাটফর্মে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথম মন্ত্রণালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরুর সম্মান অর্জন করায় আমরা আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ২০০৮ সালে তারই সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কষ্ট করে আর সেবার জন্য ঘুরতে হবে না। মন্ত্রী এ সফল কার্যক্রমের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
.
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সব জায়গায় প্রযুক্তির উপর গুরূত্বারোপ করে বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে দুর্নীতি দূর হবে এবং সেবার মান বাড়বে।
.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, এটুআই-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (ই-গভর্নেন্স) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দেওয়ান মো. আব্দুস সামাদ, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরীসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.
এটুআই-এর চীফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-এ মাইগভের আওতায় র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম সম্পর্কিত’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।