রাজধানীতে এনজিও কার্যালয় থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

  • Update Time : ০৬:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
  • / 137
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর নাখালপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যালয় থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
.

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নাখালপাড়ার লুকাস মোড়ের ৮৫ নং বাসার নিচতলা থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, স্বামী আসমত আলী (৪৫) ও স্ত্রী ফারজানার (৩২)। আসমত আলী স্থানীয় বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন আর ফারজানা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) আশা’র অফিস সহকারী ছিলেন।

স্বামী আসমত আলীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ও স্ত্রী ফারজানার মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল।

এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের এডিসি রুবাইয়াৎ জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফারজানাকে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে পরে স্বামী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলোহ চলছিলো। সপ্তাহখানেক আগে তা বেড়ে যাওয়ায় তা সুরাহা করতে গতকাল রাতে আসমত আলী এখানে আসে।

নিহতের ছেলে জানান, গতকাল বিকেলে তার বাবা-মা’র ঝগড়া হলে, সেটা মিটিয়ে দিয়ে তিনি চলে যান। পরে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বাসায় আসেন। কিন্তু, কারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশেই ভাড়া বাসায় ফিরে যান। এরপর আজ শুক্রবার সকালে এসে পেছনের জানালা দিয়ে মা’কে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জানান। পরে, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পোনে ১০টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে স্বামীর ঝুলন্ত এবং মেঝেতে পড়ে থাকা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে আগেও ঝগড়া হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাজধানীতে এনজিও কার্যালয় থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০৬:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর নাখালপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যালয় থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
.

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নাখালপাড়ার লুকাস মোড়ের ৮৫ নং বাসার নিচতলা থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, স্বামী আসমত আলী (৪৫) ও স্ত্রী ফারজানার (৩২)। আসমত আলী স্থানীয় বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন আর ফারজানা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) আশা’র অফিস সহকারী ছিলেন।

স্বামী আসমত আলীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ও স্ত্রী ফারজানার মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল।

এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের এডিসি রুবাইয়াৎ জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফারজানাকে মাথার পেছনে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে পরে স্বামী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলোহ চলছিলো। সপ্তাহখানেক আগে তা বেড়ে যাওয়ায় তা সুরাহা করতে গতকাল রাতে আসমত আলী এখানে আসে।

নিহতের ছেলে জানান, গতকাল বিকেলে তার বাবা-মা’র ঝগড়া হলে, সেটা মিটিয়ে দিয়ে তিনি চলে যান। পরে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বাসায় আসেন। কিন্তু, কারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশেই ভাড়া বাসায় ফিরে যান। এরপর আজ শুক্রবার সকালে এসে পেছনের জানালা দিয়ে মা’কে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জানান। পরে, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পোনে ১০টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে স্বামীর ঝুলন্ত এবং মেঝেতে পড়ে থাকা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে আগেও ঝগড়া হয়েছে।