জিয়ার মরণোত্তর ফাঁসি দাবি ইন্দিরার

  • Update Time : ০৮:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 158
নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক। আর পর্দার আড়ালে থেকে এই খুনি মোশতাকের এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান।

দেশি বিদেশি চক্রের সাহায্যে সংগঠিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সকল নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করে কমিশন গঠন করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।
.
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
.
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের মাফ করে দেয়। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেয়।
.
খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই। এদেশে আপামর জনসাধারণের মূল্যায়নে ইতিহাস বিকৃতিকারী খুনিরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্তি হয়েছে।
.
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পোড়া মাটি নিয়ে পুর্ণগঠন শুরু করেন। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।
.
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জিয়ার মরণোত্তর ফাঁসি দাবি ইন্দিরার

Update Time : ০৮:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক। আর পর্দার আড়ালে থেকে এই খুনি মোশতাকের এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান।

দেশি বিদেশি চক্রের সাহায্যে সংগঠিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সকল নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করে কমিশন গঠন করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।
.
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
.
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের মাফ করে দেয়। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেয়।
.
খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই। এদেশে আপামর জনসাধারণের মূল্যায়নে ইতিহাস বিকৃতিকারী খুনিরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্তি হয়েছে।
.
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পোড়া মাটি নিয়ে পুর্ণগঠন শুরু করেন। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।
.
আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।