মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ চত্বরে গাছ লাগালেন সংসদ সদস্যরা

  • Update Time : ০৬:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 173

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এক কোটি গাছের চারা রোপণের অংশ হিসেবে সংসদ ভবন চত্বরে গাছের রোপণ করেছেন ২৩ সংসদ সদস্য। আজ সোমবার তারা বিভিন্ন রকম ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পরিবেশ ও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

আরো অংশ নিয়েছেন, লালমনিরহাট-৩ এর সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বগুড়া-৩ এর সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, খুলনা-৪ এর সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, পটুয়াখালী-২ এর সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, বরিশাল-৬ এর সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, ময়মনসিংহ- ৮ এর সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-১ এর সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নুর, কিশোরগঞ্জ-৩ এর সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক, ঢাকা-৬ এর সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ঢাকা- ১০ এর সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম।

উপস্থিত থেকে আরো বৃক্ষরোপণ  করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ এর সংসদ সদস্য র অ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-২ এর সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ,  নোয়াখালী-৬ এর সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, নারী আসন-১৩ এর সংসদ সদস্য শামসুন নাহার,  নারী আসন-১৪ এর সংসদ সদস্য রুমানা আলী, নারী আসন-৩৯ এর সংসদ সদস্য পারভীন হক সিকদার, নারী আসন-৪৪ এর সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম, নারী আসন-৪৬ এর সংসদ সদস্য নাজমা আকতার এবং নারী আসন-৪৭ এর সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান।

এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষে এক কোটি গাছ লাগাবো। এসডিজি অনুযায়ী আমাদের ২৫ ভাগ জমিতে গাছ লাগাবো। আমাদের মাত্র ২২ দশমিক ৫ ভাগ জমিতে গাছ রয়েছে। এবার আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি আশা করছি ২০৩০ সালের বহু আগেই তা পূরণ করবো। গাছ হচ্ছে জীবন। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং কার্ডনডাই অক্সাইড খেয়ে ফেলে। আমরা পৃথিবীর মধ্যে একটি অনুকরণীয় দেশ। কারণ আমাদের রয়েছে বিরাট সুন্দরবন। আমরা যদি সুন্দরবনকে মূল্যায়ন করতে পারতাম তাহলে ক্লাইমেট ফান্ড থেকে আমাদের কয়েকশত বিলিয়ন ডলার আয় হতো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সম্মনজনক জলবায়ু সম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ এর মধ্যে। এর কারণ হলো আমাদের জন্যসংখ্যা অনেক বেশি। সমুদ্রের উচ্চতা যদি এক মিটার বাড়ে তাহলে পৃথিবীর প্রায় এক চতুর্থাংশ দেশ পানির নিচে চলে যাবে। তাই আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো একান্ত জরুরি।

এসময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করছি। বর্তমানে বনায়ন রয়েছে ১৭ শতাংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো এটাকে ২৫ শতাংশ এ উন্নীত করতে হবে। সবুজ বেষ্টনি করতে হবে। যাতে করে জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে নিরসনকল্পে  বনায়ন খুবই জরুরী। আমি দেশবাসিকে অনুরোধ করবো যাতে আপনারা বাড়ির পাশে অথবা যেখানে খালি জায়গা রয়েছে সেখানে বেশি করে গাছ লাগাবেন। আসুন আমরা সবাই বেশি করে গাছ লাগাই এবং পরিবেশ রক্ষা করি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ আমাদের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু এবারের বৃক্ষ রোপণের ভূমিকা একটু অন্যরকম। কারণ এই বছরটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে হয়ত আমাদের অনেক প্রোগ্রাম ছিল কিন্তু কাভিড-১৯ সেই প্রোগ্রামের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে ব্ক্ষৃ রোপণ থেকে নেই। কারণ আমাদের পরিবেশ রক্ষার্থে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের আজকের যে অবস্থান সেই অবস্থানের এর কোন বিকল্প নেই। আমি এই মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মী হিসেবে একটি নিম গাছের চারা লাগালাম। আমি পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও কিছুটা পালন করছি। নিম গাছের ফলগুলো যখন পাকে তখন ছোট ছোট পাখিরা ফলগুলো খায়। আমাদের গ্রাম বাংলায় কমিউনিটি ক্লিনিক যে ভূমিকা পালন এই নিম ফলও পাখিদের কমিউনিটি  ক্লিনিকের কাজ সম্পাদন করে থাকে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩৫০ থেকে ৫০০ টি বৃক্ষের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে গত ২৬ জুলাই তারিখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। পর্যায়ক্রমে সকল সংসদ সদস্যবৃন্দ সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ চত্বরে গাছ লাগালেন সংসদ সদস্যরা

Update Time : ০৬:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এক কোটি গাছের চারা রোপণের অংশ হিসেবে সংসদ ভবন চত্বরে গাছের রোপণ করেছেন ২৩ সংসদ সদস্য। আজ সোমবার তারা বিভিন্ন রকম ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পরিবেশ ও বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

আরো অংশ নিয়েছেন, লালমনিরহাট-৩ এর সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বগুড়া-৩ এর সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, খুলনা-৪ এর সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, পটুয়াখালী-২ এর সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, বরিশাল-৬ এর সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, ময়মনসিংহ- ৮ এর সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-১ এর সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নুর, কিশোরগঞ্জ-৩ এর সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক, ঢাকা-৬ এর সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ঢাকা- ১০ এর সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম।

উপস্থিত থেকে আরো বৃক্ষরোপণ  করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ এর সংসদ সদস্য র অ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-২ এর সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ,  নোয়াখালী-৬ এর সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, নারী আসন-১৩ এর সংসদ সদস্য শামসুন নাহার,  নারী আসন-১৪ এর সংসদ সদস্য রুমানা আলী, নারী আসন-৩৯ এর সংসদ সদস্য পারভীন হক সিকদার, নারী আসন-৪৪ এর সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম, নারী আসন-৪৬ এর সংসদ সদস্য নাজমা আকতার এবং নারী আসন-৪৭ এর সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান।

এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষে এক কোটি গাছ লাগাবো। এসডিজি অনুযায়ী আমাদের ২৫ ভাগ জমিতে গাছ লাগাবো। আমাদের মাত্র ২২ দশমিক ৫ ভাগ জমিতে গাছ রয়েছে। এবার আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি আশা করছি ২০৩০ সালের বহু আগেই তা পূরণ করবো। গাছ হচ্ছে জীবন। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং কার্ডনডাই অক্সাইড খেয়ে ফেলে। আমরা পৃথিবীর মধ্যে একটি অনুকরণীয় দেশ। কারণ আমাদের রয়েছে বিরাট সুন্দরবন। আমরা যদি সুন্দরবনকে মূল্যায়ন করতে পারতাম তাহলে ক্লাইমেট ফান্ড থেকে আমাদের কয়েকশত বিলিয়ন ডলার আয় হতো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সম্মনজনক জলবায়ু সম্পন্ন দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ এর মধ্যে। এর কারণ হলো আমাদের জন্যসংখ্যা অনেক বেশি। সমুদ্রের উচ্চতা যদি এক মিটার বাড়ে তাহলে পৃথিবীর প্রায় এক চতুর্থাংশ দেশ পানির নিচে চলে যাবে। তাই আমাদের বেশি করে গাছ লাগানো একান্ত জরুরি।

এসময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করছি। বর্তমানে বনায়ন রয়েছে ১৭ শতাংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো এটাকে ২৫ শতাংশ এ উন্নীত করতে হবে। সবুজ বেষ্টনি করতে হবে। যাতে করে জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের উপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে নিরসনকল্পে  বনায়ন খুবই জরুরী। আমি দেশবাসিকে অনুরোধ করবো যাতে আপনারা বাড়ির পাশে অথবা যেখানে খালি জায়গা রয়েছে সেখানে বেশি করে গাছ লাগাবেন। আসুন আমরা সবাই বেশি করে গাছ লাগাই এবং পরিবেশ রক্ষা করি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ আমাদের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু এবারের বৃক্ষ রোপণের ভূমিকা একটু অন্যরকম। কারণ এই বছরটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে হয়ত আমাদের অনেক প্রোগ্রাম ছিল কিন্তু কাভিড-১৯ সেই প্রোগ্রামের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। কিন্তু তাই বলে ব্ক্ষৃ রোপণ থেকে নেই। কারণ আমাদের পরিবেশ রক্ষার্থে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের আজকের যে অবস্থান সেই অবস্থানের এর কোন বিকল্প নেই। আমি এই মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মী হিসেবে একটি নিম গাছের চারা লাগালাম। আমি পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও কিছুটা পালন করছি। নিম গাছের ফলগুলো যখন পাকে তখন ছোট ছোট পাখিরা ফলগুলো খায়। আমাদের গ্রাম বাংলায় কমিউনিটি ক্লিনিক যে ভূমিকা পালন এই নিম ফলও পাখিদের কমিউনিটি  ক্লিনিকের কাজ সম্পাদন করে থাকে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩৫০ থেকে ৫০০ টি বৃক্ষের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে গত ২৬ জুলাই তারিখে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। পর্যায়ক্রমে সকল সংসদ সদস্যবৃন্দ সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত রয়েছে।