রকেটের গতিতে ইন্টারেট দেবে আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড

  • Update Time : ০৫:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • / 178
‘আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড’ নামের সুপার ফাস্ট ব্রডব্র্যান্ড আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।

উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেরট কানেকশনের ধারণাই পাল্টে দিচ্ছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড’ নামের সুপার ফাস্ট ব্রডব্র্যান্ড আবিষ্কার করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক। যার গতি হবে রকেটের মতোই!

ফাইবার-অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফারের রেকর্ড গতি অর্জন করেছেন গবেষকরা। ৪০ কিলোমিটার লম্বা ফাইবার ক্যাবলে প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮.০৮ টেরাবিটস ট্রান্সফার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

জানা গেছে, ১৭৮.০৮ টেরাবিটস পার সেকেন্ড গতিতে ২২২টি আল্ট্রা এইচডি ব্লু রে ডিস্ক ট্রান্সফার করা যাবে। এই গতির ধারে কাছেও এতোদিন যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আল্ট্রা ব্রডব্র্যান্ড গতির ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যাবে কি-না তা এখনো অনিশ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের স্থাপিত ক্যাবলের মাধ্যমে সেকেন্ড ৬০ টেরিবিটস গতি পাওয়া যায়। এই গতির পেছনে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ডলার।

মোবাইল ইন্টারনেটে মেগাবাইট খরচ করে যেমন কাজের কাজ তেমন কিছু করা যায় না, অথচ পানির মতো টাকা খরচ হতে থাকে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা হচ্ছে এখানে ডাটা নয় গতি বিক্রি হয়। নির্দিষ্ট গতিতে আপনি যত খুশি ডাটা ব্যবহার করুন, খরচ কিন্তু একই। তাই মানুষ প্রতিনিয়ত ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। এদিকে গবেষকরাও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্যস্ত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রকেটের গতিতে ইন্টারেট দেবে আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড

Update Time : ০৫:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
‘আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড’ নামের সুপার ফাস্ট ব্রডব্র্যান্ড আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।

উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেরট কানেকশনের ধারণাই পাল্টে দিচ্ছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড’ নামের সুপার ফাস্ট ব্রডব্র্যান্ড আবিষ্কার করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক। যার গতি হবে রকেটের মতোই!

ফাইবার-অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফারের রেকর্ড গতি অর্জন করেছেন গবেষকরা। ৪০ কিলোমিটার লম্বা ফাইবার ক্যাবলে প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮.০৮ টেরাবিটস ট্রান্সফার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

জানা গেছে, ১৭৮.০৮ টেরাবিটস পার সেকেন্ড গতিতে ২২২টি আল্ট্রা এইচডি ব্লু রে ডিস্ক ট্রান্সফার করা যাবে। এই গতির ধারে কাছেও এতোদিন যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আল্ট্রা ব্রডব্র্যান্ড গতির ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যাবে কি-না তা এখনো অনিশ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের স্থাপিত ক্যাবলের মাধ্যমে সেকেন্ড ৬০ টেরিবিটস গতি পাওয়া যায়। এই গতির পেছনে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ডলার।

মোবাইল ইন্টারনেটে মেগাবাইট খরচ করে যেমন কাজের কাজ তেমন কিছু করা যায় না, অথচ পানির মতো টাকা খরচ হতে থাকে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা হচ্ছে এখানে ডাটা নয় গতি বিক্রি হয়। নির্দিষ্ট গতিতে আপনি যত খুশি ডাটা ব্যবহার করুন, খরচ কিন্তু একই। তাই মানুষ প্রতিনিয়ত ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। এদিকে গবেষকরাও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্যস্ত।