নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করি, সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়ি

  • Update Time : ০৬:০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 205

শাহারিয়ার বেলাল:

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। ২৪ আগস্ট ‘জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ’ দিবস। ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ধর্ষণের পর হত্যা করে।

এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারাদেশে। সেই থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।

প্রতিবছরই ক্যালেন্ডার ধরে দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয় না। উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, শুধু আইন দিয়ে নয়, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে নারীদের সম্মান-সুরক্ষার এ দায়িত্ব শুধু নারীদের হতে পারে না। সমাজের সব পক্ষের মানুষকে সমবেতভাবে মানবতার ওপর এই আক্রমণকে রুখতে হবে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারপরও সাধারণভাবে তারা শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকারের দিক দিয়ে এখনো পুরুষের সমকক্ষ নয়। অথচ এই নারীর কারণেই একটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পায়, একটি সুন্দর জীবনের শুভ সুচনা হয়। আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে একটি পরিবার। অথচ নারীদের জীবন আমাদের এই সমাজে শুধুই একজন সামান্য নারী হিসাবে চিহ্নিত, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের সমাজে নারী পুরুষ উভয়ই সমান অধিকারী। কিন্তু এই অধিকার নারীরা কতটুকু পায়? তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অধিকার থেকে বঞ্চিত।

বিরামহীনভাবে চলছে ধর্ষণ। একের পর লোমহর্ষক খবর সবাইকে অস্থির করে দিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি মাদরাসায়ও ধর্ষণসহ নানা কায়দায় চলছে নারী নির্যাতন। শিক্ষকতার মহান দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিও নাম লেখাচ্ছেন ধর্ষকের খাতায়। মানুষের আস্থার জায়গা বলে কিছু থাকছে না। পবিত্র শিক্ষাঙ্গন আজ অপবিত্র।

বেসরকারি সংগঠন অ্যাকশন এইডের একটি জরিপে দেখা যায়, দেশের বড় শহরগুলোতে দিনের বেলায়ই যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে নানারকম হেনস্তার শিকার হন নারী যাত্রীদের একটা বড় অংশ। গণপরিবহনে যৌন হয়রানি নিয়ে ব্র্যাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, গণপরিবহনে ৯৪ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এই যৌন হয়রানির জন্য যারা দায়ী তাদের বড় অংশ ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ, শতকরা হিসাবে তারা ৬৬ ভাগ।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৬৫ শতাংশ নারী। এ ছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার।

নারীর ওপর নির্যাতন, পীড়ন, যৌন হয়রানি ও হত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এসব অপরাধ সংঘটনের কারণ সামাজিক অবক্ষয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের নজরদারির অভাব এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতন। পাশাপাশি রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশের দায় এড়ানোর মনোভাব ও দুর্নীতি, অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, বিচারে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ এবং সুশিক্ষা ও সচেতনতার ঘাটতি। রাষ্ট্র কঠোর হলে, বিচার যথাযথ হলে এবং সমাজ ও পরিবার নৈতিক অবস্থানে দৃঢ় থাকলে এমন অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে
নারীর প্রতি নির্যাতন রোধের জন্য আইন ছাড়াও আমাদের প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারবে। যার মাধ্যমে নারী পাবে সহিংসতার প্রতিকার। গড়ে উঠবে নির্যাতনমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ। তাই নারীদের প্রতি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পরিবার ও সমাজ তথা আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরও সোচ্চার হতে হবে। নারীদের কথা বলতে হবে নিজের অধিকার আদায়ে। নির্যাতনকারী সমাজের যেই হোক না কেন, জোরালো কণ্ঠে কথা বলতে হবে তাদের বিরুদ্ধে। সচেতন হতে হবে নিজেদের প্রকৃত অধিকার প্রসঙ্গে। সচেতন হতে হবে শিক্ষা ও চিন্তায়। সর্বোপরি নারীকে নারী নয়, যখনই তাদের মানুষ হিসেবে দেখা হবে তখনই অনেকাংশে কমে আসবে নির্যাতন।

শুধু তাই নয়, নারী নির্যাতন রোধে কিছু মৌলিক কাজ আগে করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নারী শিক্ষা, সমাজে নারীর সুষ্ঠু অধিকার নিশ্চিতকরণ, নারীর কর্মসংস্থান ইত্যাদি। নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ হচ্ছে নারীর পরনির্ভরশীলতা, শিক্ষার অভাব, দুর্বল মনোভাব। একজন নারী যখন শিক্ষিত হবে, কাজ করবে—তখন সে আর অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে। এ ছাড়া পুরুষের মধ্যে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মনোভাব গড়ে উঠলে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্ভব।

মানবসভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নারীর অবদানকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। লাখ লাখ বছর আগে গুহাবাসী নারী-পুরুষ যৌথ প্রচেষ্টায় যে জীবন শুরু করেছিল, তা ক্রমেই বিকশিত হয়ে আজকের সভ্যতার সৃষ্টি। নারী-পুরুষের স্বার্থ এক ও অভিন্ন।

তাই নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে না দেখে তার সঠিক মর্যাদা তাকে দিতে হবে। সকল অভিশাপ থেকে নারীকে মুক্ত করতে হবে। নারীরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশই নীরবে নির্যাতন সহ্য করেন। এই নির্যাতন নারীর অগ্রগতির পথে একটি মারাত্মক হুমকি বা বাধা।
নারীর ওপর নির্যাতনের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন একসাথে হাতে হাত রেখে সামাজিক এই দুষ্ট ক্ষতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

লেখক: শিক্ষার্থী,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
            ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করি, সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়ি

Update Time : ০৬:০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

শাহারিয়ার বেলাল:

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, পরিবর্তিত হচ্ছে সমাজ কাঠামো, বিকশিত হচ্ছে সভ্যতা। পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, বন্ধ হয়নি নারী নির্যাতন। ২৪ আগস্ট ‘জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ’ দিবস। ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ধর্ষণের পর হত্যা করে।

এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারাদেশে। সেই থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে।

প্রতিবছরই ক্যালেন্ডার ধরে দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয় না। উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, শুধু আইন দিয়ে নয়, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে নারীদের সম্মান-সুরক্ষার এ দায়িত্ব শুধু নারীদের হতে পারে না। সমাজের সব পক্ষের মানুষকে সমবেতভাবে মানবতার ওপর এই আক্রমণকে রুখতে হবে।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারপরও সাধারণভাবে তারা শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকারের দিক দিয়ে এখনো পুরুষের সমকক্ষ নয়। অথচ এই নারীর কারণেই একটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পায়, একটি সুন্দর জীবনের শুভ সুচনা হয়। আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে একটি পরিবার। অথচ নারীদের জীবন আমাদের এই সমাজে শুধুই একজন সামান্য নারী হিসাবে চিহ্নিত, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের সমাজে নারী পুরুষ উভয়ই সমান অধিকারী। কিন্তু এই অধিকার নারীরা কতটুকু পায়? তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অধিকার থেকে বঞ্চিত।

বিরামহীনভাবে চলছে ধর্ষণ। একের পর লোমহর্ষক খবর সবাইকে অস্থির করে দিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি মাদরাসায়ও ধর্ষণসহ নানা কায়দায় চলছে নারী নির্যাতন। শিক্ষকতার মহান দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিও নাম লেখাচ্ছেন ধর্ষকের খাতায়। মানুষের আস্থার জায়গা বলে কিছু থাকছে না। পবিত্র শিক্ষাঙ্গন আজ অপবিত্র।

বেসরকারি সংগঠন অ্যাকশন এইডের একটি জরিপে দেখা যায়, দেশের বড় শহরগুলোতে দিনের বেলায়ই যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে নানারকম হেনস্তার শিকার হন নারী যাত্রীদের একটা বড় অংশ। গণপরিবহনে যৌন হয়রানি নিয়ে ব্র্যাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, গণপরিবহনে ৯৪ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এই যৌন হয়রানির জন্য যারা দায়ী তাদের বড় অংশ ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ, শতকরা হিসাবে তারা ৬৬ ভাগ।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৬৫ শতাংশ নারী। এ ছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার।

নারীর ওপর নির্যাতন, পীড়ন, যৌন হয়রানি ও হত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এসব অপরাধ সংঘটনের কারণ সামাজিক অবক্ষয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের নজরদারির অভাব এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধঃপতন। পাশাপাশি রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশের দায় এড়ানোর মনোভাব ও দুর্নীতি, অপরাধীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, বিচারে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ এবং সুশিক্ষা ও সচেতনতার ঘাটতি। রাষ্ট্র কঠোর হলে, বিচার যথাযথ হলে এবং সমাজ ও পরিবার নৈতিক অবস্থানে দৃঢ় থাকলে এমন অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে
নারীর প্রতি নির্যাতন রোধের জন্য আইন ছাড়াও আমাদের প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারবে। যার মাধ্যমে নারী পাবে সহিংসতার প্রতিকার। গড়ে উঠবে নির্যাতনমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ। তাই নারীদের প্রতি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পরিবার ও সমাজ তথা আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরও সোচ্চার হতে হবে। নারীদের কথা বলতে হবে নিজের অধিকার আদায়ে। নির্যাতনকারী সমাজের যেই হোক না কেন, জোরালো কণ্ঠে কথা বলতে হবে তাদের বিরুদ্ধে। সচেতন হতে হবে নিজেদের প্রকৃত অধিকার প্রসঙ্গে। সচেতন হতে হবে শিক্ষা ও চিন্তায়। সর্বোপরি নারীকে নারী নয়, যখনই তাদের মানুষ হিসেবে দেখা হবে তখনই অনেকাংশে কমে আসবে নির্যাতন।

শুধু তাই নয়, নারী নির্যাতন রোধে কিছু মৌলিক কাজ আগে করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নারী শিক্ষা, সমাজে নারীর সুষ্ঠু অধিকার নিশ্চিতকরণ, নারীর কর্মসংস্থান ইত্যাদি। নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ হচ্ছে নারীর পরনির্ভরশীলতা, শিক্ষার অভাব, দুর্বল মনোভাব। একজন নারী যখন শিক্ষিত হবে, কাজ করবে—তখন সে আর অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে। এ ছাড়া পুরুষের মধ্যে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মনোভাব গড়ে উঠলে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্ভব।

মানবসভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নারীর অবদানকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। লাখ লাখ বছর আগে গুহাবাসী নারী-পুরুষ যৌথ প্রচেষ্টায় যে জীবন শুরু করেছিল, তা ক্রমেই বিকশিত হয়ে আজকের সভ্যতার সৃষ্টি। নারী-পুরুষের স্বার্থ এক ও অভিন্ন।

তাই নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে না দেখে তার সঠিক মর্যাদা তাকে দিতে হবে। সকল অভিশাপ থেকে নারীকে মুক্ত করতে হবে। নারীরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশই নীরবে নির্যাতন সহ্য করেন। এই নির্যাতন নারীর অগ্রগতির পথে একটি মারাত্মক হুমকি বা বাধা।
নারীর ওপর নির্যাতনের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন একসাথে হাতে হাত রেখে সামাজিক এই দুষ্ট ক্ষতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

লেখক: শিক্ষার্থী,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
            ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।