মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যিনি কাজ করছিলেন, তাকেই খুনিরা হত্যা করল’

  • Update Time : ০৭:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 156

 

বিশেষ সংবাদদাতা:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করল।’

রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ সভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু জাতির পিতার যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, ভালোবাসা ছিল তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।’

তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। তারা কখনই চায়নি বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। এই চক্রান্তের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যেমন জড়িত তেমনি জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। এই কারণে যে খন্দকার মোশতাক যখন অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে তখন জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদ মোশারফ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর মেধাবী অফিসারদেরও একে একে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া কোনদিনও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়নি। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কত নেতাকর্মীকে গুম করেছে তার শেষ নেই।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করা হয়। সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

এছাড়া, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যিনি কাজ করছিলেন, তাকেই খুনিরা হত্যা করল’

Update Time : ০৭:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

 

বিশেষ সংবাদদাতা:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করল।’

রোববার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ সভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিরা পারেনি। কিন্তু জাতির পিতার যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, ভালোবাসা ছিল তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।’

তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। তারা কখনই চায়নি বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। এই চক্রান্তের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যেমন জড়িত তেমনি জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। এই কারণে যে খন্দকার মোশতাক যখন অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে তখন জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদ মোশারফ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর মেধাবী অফিসারদেরও একে একে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া কোনদিনও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়নি। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কত নেতাকর্মীকে গুম করেছে তার শেষ নেই।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করা হয়। সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের ওপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

এছাড়া, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।