শ্রীমঙ্গলে পাহাড় কাটা থামছেই না

- Update Time : ০৬:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০২০
- / 209
শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে থামছে না পাহাড় কাটা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে বসতি ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। এতে করে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলো রয়েছেন পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে।
.
শুক্রবার উপজেলার পাহাড়ি জনপদ রাধানগর, মোহাজিরাবাদ ও বিষামনি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।
.
রাধানাগর মৌজার বেগুনবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি মাটি শ্রমিক দিয়ে প্রকাশ্য পাহাড় কাটতে। শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে পাহাড়রের মাটি কেটে নিচে কৃষি জমি সৃজন করছে। আবু তাহের নিজেকে বিটিআরআই গেষ্ট হাউজের বাবুর্চি পরিচয় দিয়ে বলেন, আনারস বাগান সৃজনের জন্য পাহাড়ের মাটি কাটতে হচ্ছে।
.
একইভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে স্থানীয় প্রভাবশলীরা রাধানগর মোহাজিরা বাদ ও বিষামণি এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন বসত বাড়ি, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এমনকি মসজিদ।এর পাশাপাশি চলছে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির কাজও।এভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।
.
নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে অনেক জায়গায় পাহাড়ে ফাটলও দেখা দিয়েছে। আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উপরের অংশে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এতে যে কোনো সময় পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশংকা দেখা দিয়েছে।
.
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন পর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও পরে আবার শুরু হয় পাহাড় কাটা।
.
সিলেট বিভাগের পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। সরকার পাহাড় কাটার জন্য শাস্তির বিধান রেখেছে। কিন্তু সেই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় পাহাড় খেকোরা ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে যাচ্ছে’।
.
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা এর আগে পাহাড় কাটাার দায়ে শ্রীমঙ্গলের অনেকজনকে জরিমানা করেছি। কোনভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। এই বিষয়টি আমরা দ্রুত দেখছি’।