কোকোকে দেশের মানুষ ক্রীড়াসংগঠক হিসেবে চেনে : মির্জা ফখরুল

  • Update Time : ১২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 178

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

ক্রীড়াঙ্গনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অবদান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কোকো রাজনীতির বাইরে থেকে পুরোপুরিভাবে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে তার সংগঠনের কাজে ব্যয় করেছেন এবং অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। আজকে আমরা ক্রিকেটে যে ভিত্তি দেখতে পাই- এটা তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।’

সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখবেন, এই দেশের স্বাধীনতার যিনি ঘোষণা দিলেন, যিনি যুদ্ধ করলেন, একই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসার পরে ক্রীড়াঙ্গনকে উদ্দীপ্ত করলেন, দেশকে জাগিয়ে তুললেন তার সম্পর্কে আজকে মিথ্যা কথা বলে তাকে খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগের যে কেমেস্ট্রি, এই কেমেস্ট্রিটা হচ্ছে দলীয়করণের কেমেস্ট্রি। নিরপেক্ষতা অথবা দলের বাইরে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা-এটা তাদের মধ্যে নেই। আজকে গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে তারা। এটা তাদের আদর্শগত, নীতিগত। কারণ ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমরা তো সেগুলো ভুলে যাইনি। আজকে যদিও সব কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এত সহজে সত্যকে তো ঢেকে দেয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে খেলাধুলা, গানবাজনা, রাজনীতি বলেন কোনোটাই দলীয়করণের বাইরে নয়। আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনাটি ছিল গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার চেতনা, গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ করার চেতনা, সেই চেতনাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে এক অনুষ্ঠানে আমাদের এক প্রতিথযশা শিল্পী ফরিদা পারভীনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তার স্বামী যিনি সবচেয়ে ভালো বাঁশি বাজান হাকিম সাহেবের সঙ্গেও আমার দেখা হয়েছিল। ওনারা খুব দুঃখ করে বললেন, এখন আর তাদেরকে সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে অথবা সরকারের স্পন্সর যেসমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আছে তারা তাদেরকে আর ঢাকেন না। কী নিদারুণ অবস্থা চিন্তা করেন। শিল্পী ফরিদা পারভীন লালনসঙ্গীত-লোক সঙ্গীতে সর্বশ্রেষ্ঠ, আর যিনি আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কারও পেয়েছেন হাকিম সাহেব ওই ধরনের বংশীবাদক, তাদেরকে ডাকা হয় না। ঠিক একইভাবে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সমর্থক ছিলেন, তারা মারা যাওয়ার পর তাদের মরদেহ শহীদ মিনারে পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি।’

‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মানুষ হিসেবে বলতে পারি, কর্মী হিসেবে বলতে পারি যে, আমাদের বারবার করে মনে করতে হবে আমাদের এই রাষ্ট্রের ভিত্তি যারা তৈরি করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রের জন্য যিনি সংগ্রাম করেছেন এখনও করছেন, এখনও বন্দি অবস্থায় আছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, আমাদের স্মরণ করতে হবে আরেক লড়াকু সৈনিক যিনি নির্বাসিত থেকেও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাদেরকে সামনে নিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি।’

ফখরুল বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষ আমাদের যে রাষ্ট্র, যেটা আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, বহু চিন্তার যে রাষ্ট্র, বহুমতের যে রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কে বিএনপি করে, কে আওয়ামী লীগ করে, কে সিপিবি করে, কে অন্যান্য দল করে ওটা বেশি ব্যাপার নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে- এই রাষ্ট্রকে সকলের কথায়, সকলের চিন্তার স্বাধীনতা এবং জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করব। তাহলেই ক্রিকেট, ক্রীড়াঙ্গন সবকিছুরই উন্নয়ন হবে।’

ক্রিকেটসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অবদানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘কোকো রাজনীতির বাইরে থেকে পুরোপুরিভাবে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে তার সংগঠনের কাজে ব্যয় করেছেন এবং অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। আজকে আমরা ক্রিকেটে যে ভিত্তি দেখতে পাই- এটা তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।’

‘আরাফাত রহমান কোকো ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সহসভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, ক্রীড়া সংগঠক তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কোকোকে দেশের মানুষ ক্রীড়াসংগঠক হিসেবে চেনে : মির্জা ফখরুল

Update Time : ১২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

ক্রীড়াঙ্গনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অবদান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কোকো রাজনীতির বাইরে থেকে পুরোপুরিভাবে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে তার সংগঠনের কাজে ব্যয় করেছেন এবং অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। আজকে আমরা ক্রিকেটে যে ভিত্তি দেখতে পাই- এটা তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।’

সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে রোববার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখবেন, এই দেশের স্বাধীনতার যিনি ঘোষণা দিলেন, যিনি যুদ্ধ করলেন, একই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসার পরে ক্রীড়াঙ্গনকে উদ্দীপ্ত করলেন, দেশকে জাগিয়ে তুললেন তার সম্পর্কে আজকে মিথ্যা কথা বলে তাকে খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগের যে কেমেস্ট্রি, এই কেমেস্ট্রিটা হচ্ছে দলীয়করণের কেমেস্ট্রি। নিরপেক্ষতা অথবা দলের বাইরে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা-এটা তাদের মধ্যে নেই। আজকে গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে তারা। এটা তাদের আদর্শগত, নীতিগত। কারণ ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমরা তো সেগুলো ভুলে যাইনি। আজকে যদিও সব কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এত সহজে সত্যকে তো ঢেকে দেয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে খেলাধুলা, গানবাজনা, রাজনীতি বলেন কোনোটাই দলীয়করণের বাইরে নয়। আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনাটি ছিল গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার চেতনা, গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ করার চেতনা, সেই চেতনাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে এক অনুষ্ঠানে আমাদের এক প্রতিথযশা শিল্পী ফরিদা পারভীনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, তার স্বামী যিনি সবচেয়ে ভালো বাঁশি বাজান হাকিম সাহেবের সঙ্গেও আমার দেখা হয়েছিল। ওনারা খুব দুঃখ করে বললেন, এখন আর তাদেরকে সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে অথবা সরকারের স্পন্সর যেসমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আছে তারা তাদেরকে আর ঢাকেন না। কী নিদারুণ অবস্থা চিন্তা করেন। শিল্পী ফরিদা পারভীন লালনসঙ্গীত-লোক সঙ্গীতে সর্বশ্রেষ্ঠ, আর যিনি আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কারও পেয়েছেন হাকিম সাহেব ওই ধরনের বংশীবাদক, তাদেরকে ডাকা হয় না। ঠিক একইভাবে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সমর্থক ছিলেন, তারা মারা যাওয়ার পর তাদের মরদেহ শহীদ মিনারে পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি।’

‘এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মানুষ হিসেবে বলতে পারি, কর্মী হিসেবে বলতে পারি যে, আমাদের বারবার করে মনে করতে হবে আমাদের এই রাষ্ট্রের ভিত্তি যারা তৈরি করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রের জন্য যিনি সংগ্রাম করেছেন এখনও করছেন, এখনও বন্দি অবস্থায় আছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, আমাদের স্মরণ করতে হবে আরেক লড়াকু সৈনিক যিনি নির্বাসিত থেকেও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাদেরকে সামনে নিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি।’

ফখরুল বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষ আমাদের যে রাষ্ট্র, যেটা আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, বহু চিন্তার যে রাষ্ট্র, বহুমতের যে রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কে বিএনপি করে, কে আওয়ামী লীগ করে, কে সিপিবি করে, কে অন্যান্য দল করে ওটা বেশি ব্যাপার নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে- এই রাষ্ট্রকে সকলের কথায়, সকলের চিন্তার স্বাধীনতা এবং জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করব। তাহলেই ক্রিকেট, ক্রীড়াঙ্গন সবকিছুরই উন্নয়ন হবে।’

ক্রিকেটসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অবদানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘কোকো রাজনীতির বাইরে থেকে পুরোপুরিভাবে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে তার সংগঠনের কাজে ব্যয় করেছেন এবং অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। আজকে আমরা ক্রিকেটে যে ভিত্তি দেখতে পাই- এটা তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।’

‘আরাফাত রহমান কোকো ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সহসভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, ক্রীড়া সংগঠক তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেন।