মাদকসেবীদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
- Update Time : ১১:৪৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
- / 173
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিট পুলিশিং ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে মাদক সেবীদের তালিকা করতে হবে। আমরা মাদকসেবীদের তালিকা তৈরি করে তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে পুনর্বাসনে সহাযোগিতা করবো।
রবিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১০.৩০ টায় রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।
পথশিশুদের মাদকসেবনের বিষয়ে কমিশনার বলেন, যেসব পথশিশুরা মাদক ও ড্যান্ডি খাচ্ছে তাদের দিকে বিশেষ লক্ষ্য দিতে হবে। এদের ভবিষ্যতে বড় হয়ে ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কাজ করার সম্ভাবনা আছে। শিশুদের কাছে জুতার সলুশন আঠা যেসব দোকানদার বিক্রি করছে তাদেরকে শিশুদের কাছে সলুশন আঠা বিক্রি না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, মাদকসেবী সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্য ডোপটেস্ট করে পজিটিভ হলে তাকে চাকরি হারাতে হবে। যেসব পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। যে উদ্দেশ্য ও শক্তি নিয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে নেমেছিলাম তা অব্যাহত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা মহানগর এলাকায় জুলাই মাসে উদ্ধারকৃত মাদকের পরিমাণ, গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংখ্যা ও এ সংক্রান্তে মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএমপির মনিটরিং সেলের মাধ্যমে থানায় সেবা প্রত্যাশীদের সাথে যোগোযোগ করে দেখা যাচ্ছে, থানায় মামলা ও জিডি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশের আচরণে জনসাধারণ সন্তুষ্ট হচ্ছেন। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে সংঘটিত হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলার ডিটেকশনের পরিমাণ অনেক ভালো বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় জুলাই ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে গুলশান ও উত্তরা বিভাগ। সন্তুষ্টজনক কাজের জন্য ৩৭ জনকে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।