কংগ্রেসের দায়িত্বে সোনিয়া গান্ধী

  • Update Time : ১০:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / 161

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আগামী দিনে কংগ্রেসের সভাপতির হবে কে এই প্রশ্নেই উত্তাল ছিল জাতীয় কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ আবহাওয়া। গত বছর আজকের দিনে সোনিয়া গান্ধীকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কাজ করতে পারেন সর্বোচ্চ এক বছর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস দলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চান রাহুল গান্ধী। তারপরেই অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সোনিয়া গান্ধীকে। কংগ্রেসের এই সভাপতি বাঁচতে না পারার ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সরকারে তাদের শরিকরা।

গত দেড় মাসে তিনটি হেভিওয়েট মিটিংয়ে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি করার প্রস্তাব দেয় বিভিন্ন তরুন যুব কংগ্রেস নেতা। তবে এখনো নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধী। সোনিয়ার মেয়াদ শেষের আগের দিনে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। কেরলের তিরুবন্তপুরম এর সাংসদ শশী থারুর মন্তব্য করেন, “রাহুল দায়িত্ব নিন অথবা নির্বাচনের মাধ্যমে বাছা হোক অন্য কাউকে।“ আবার বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য অভিষেক মনু সিংভির ইঙ্গিত”, আর বেশি অপেক্ষা নয় কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ণ সময়ের সভাপতি বেছে নেবে কংগ্রেস।

শশী থারুরের বক্তব্য, “সভাপতি ছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন চলতে পারে না দল। কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত দিশেহারা। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধী সামরিকভাবে হাল ধরলেও তার পক্ষে অনির্দিষ্টকালের দায়িত্ব টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই রাহুল গান্ধী রাজি থাকলে ভালো না হলে নতুন কাউকে বেছে নিয়ে দ্রুত তার হাতে তুলে দেওয়া হোক দলের দায়িত্ব। দলের হাল ফেরানো জরুরী।”

কংগ্রেস শিবিরের সিংহভাগের আস্থা রাহুল গান্ধীর উপরেই। এমনকি জনমত সমীক্ষা বলছে অধিকাংশ জনতা বিশ্বাস করেন রাহুল গান্ধী একমাত্র ব্যক্তি যিনি সভাপতির দায়ভার গ্রহণ করতে পারেন। এর আগেও কংগ্রেসের শেষ দলীয় বৈঠকে নবীন-প্রবীণ লড়াইয়ে যথেষ্ট অপ্রস্তুত হতে হয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই দ্বন্ধে দল ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবার প্রকাশ্যে হয়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি দলের জাতীয় মুখ ঠিক করতে পারবে কংগ্রেস ততো তাড়াতাড়ি আগামী নির্বাচনী যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কংগ্রেসের দায়িত্বে সোনিয়া গান্ধী

Update Time : ১০:৪৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আগামী দিনে কংগ্রেসের সভাপতির হবে কে এই প্রশ্নেই উত্তাল ছিল জাতীয় কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ আবহাওয়া। গত বছর আজকের দিনে সোনিয়া গান্ধীকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কাজ করতে পারেন সর্বোচ্চ এক বছর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস দলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চান রাহুল গান্ধী। তারপরেই অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সোনিয়া গান্ধীকে। কংগ্রেসের এই সভাপতি বাঁচতে না পারার ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সরকারে তাদের শরিকরা।

গত দেড় মাসে তিনটি হেভিওয়েট মিটিংয়ে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি করার প্রস্তাব দেয় বিভিন্ন তরুন যুব কংগ্রেস নেতা। তবে এখনো নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধী। সোনিয়ার মেয়াদ শেষের আগের দিনে ওঠে সেই প্রসঙ্গ। কেরলের তিরুবন্তপুরম এর সাংসদ শশী থারুর মন্তব্য করেন, “রাহুল দায়িত্ব নিন অথবা নির্বাচনের মাধ্যমে বাছা হোক অন্য কাউকে।“ আবার বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য অভিষেক মনু সিংভির ইঙ্গিত”, আর বেশি অপেক্ষা নয় কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ণ সময়ের সভাপতি বেছে নেবে কংগ্রেস।

শশী থারুরের বক্তব্য, “সভাপতি ছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন চলতে পারে না দল। কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত দিশেহারা। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধী সামরিকভাবে হাল ধরলেও তার পক্ষে অনির্দিষ্টকালের দায়িত্ব টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই রাহুল গান্ধী রাজি থাকলে ভালো না হলে নতুন কাউকে বেছে নিয়ে দ্রুত তার হাতে তুলে দেওয়া হোক দলের দায়িত্ব। দলের হাল ফেরানো জরুরী।”

কংগ্রেস শিবিরের সিংহভাগের আস্থা রাহুল গান্ধীর উপরেই। এমনকি জনমত সমীক্ষা বলছে অধিকাংশ জনতা বিশ্বাস করেন রাহুল গান্ধী একমাত্র ব্যক্তি যিনি সভাপতির দায়ভার গ্রহণ করতে পারেন। এর আগেও কংগ্রেসের শেষ দলীয় বৈঠকে নবীন-প্রবীণ লড়াইয়ে যথেষ্ট অপ্রস্তুত হতে হয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই দ্বন্ধে দল ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবার প্রকাশ্যে হয়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি দলের জাতীয় মুখ ঠিক করতে পারবে কংগ্রেস ততো তাড়াতাড়ি আগামী নির্বাচনী যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।