সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু

  • Update Time : ০৫:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / 128

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার দেবীপুর বাজারের কাছে।

নিহতরা হলেন- ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৫০), মিথিলেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৪০), গোবিন্দ মাঝি (৫০), বাবলু মাঝি (৩০), লালু মাঝি (২৫) ও লিলু মুর্মুর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, দেবীপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল একটি সেপটিক ট্যাংক বানাচ্ছিলেন। সেই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নেমে তাদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার সকালে প্রথমে লিলু মুর্মু সেপটিক ট্যাংকের কভার খোলার জন্য নিচে যান। এরপর থেকেই তার কোনো সাড়াশব্দ মিলছিল না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে লিলুর খোঁজ না মেলায় ঠিকাদার গোবিন্দ মাঝি নির্মীয়মান ওই ট্যাংকের ভেতরে নামেন। কিছুক্ষণ পর তারও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরিস্থিতি না বুঝে গোবিন্দর দুই ছেলে বাবলু ও লালু দুজনে একসঙ্গে ট্যাংকের ভেতরে নামলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং তাদের দুজনেরও কোনো খোঁজ মিলছিলো না।

এরপর ব্রজেশও অপেক্ষা করেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও কোনো লাভ না হওয়ায় তিনিও ভেতরে নামেন। কিন্তু তার পরিণতিও হয় বাকি চারজনের মতোই মর্মান্তিক। তারও মৃত্যু হয় সেখানেই। কিন্তু তা আন্দাজ না করেই ব্রজেশের ভাই মিথিলেশও দাদা ও বাকিদের খোঁজে ওই ট্যাংকের ভেতরে নামেন।

কিন্তু তিনিও আর ফেরেননি। পরপর ৬ জনের কোনোও খোঁজ না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, সেপটিক ট্যাংকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বা মনোক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাস থেকেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই ৬ জনের।

দেওঘরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কমলেশ্বর প্রসাদ সিং জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু

Update Time : ০৫:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার দেবীপুর বাজারের কাছে।

নিহতরা হলেন- ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৫০), মিথিলেশ চন্দ্র বার্নওয়াল (৪০), গোবিন্দ মাঝি (৫০), বাবলু মাঝি (৩০), লালু মাঝি (২৫) ও লিলু মুর্মুর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, দেবীপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্রজেশ চন্দ্র বার্নওয়াল একটি সেপটিক ট্যাংক বানাচ্ছিলেন। সেই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নেমে তাদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার সকালে প্রথমে লিলু মুর্মু সেপটিক ট্যাংকের কভার খোলার জন্য নিচে যান। এরপর থেকেই তার কোনো সাড়াশব্দ মিলছিল না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে লিলুর খোঁজ না মেলায় ঠিকাদার গোবিন্দ মাঝি নির্মীয়মান ওই ট্যাংকের ভেতরে নামেন। কিছুক্ষণ পর তারও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরিস্থিতি না বুঝে গোবিন্দর দুই ছেলে বাবলু ও লালু দুজনে একসঙ্গে ট্যাংকের ভেতরে নামলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং তাদের দুজনেরও কোনো খোঁজ মিলছিলো না।

এরপর ব্রজেশও অপেক্ষা করেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও কোনো লাভ না হওয়ায় তিনিও ভেতরে নামেন। কিন্তু তার পরিণতিও হয় বাকি চারজনের মতোই মর্মান্তিক। তারও মৃত্যু হয় সেখানেই। কিন্তু তা আন্দাজ না করেই ব্রজেশের ভাই মিথিলেশও দাদা ও বাকিদের খোঁজে ওই ট্যাংকের ভেতরে নামেন।

কিন্তু তিনিও আর ফেরেননি। পরপর ৬ জনের কোনোও খোঁজ না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, সেপটিক ট্যাংকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বা মনোক্সাইডের মতো মারাত্মক গ্যাস থেকেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই ৬ জনের।

দেওঘরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কমলেশ্বর প্রসাদ সিং জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।