শনিবার (৮ আগস্ট) মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শনকালে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে আনার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নত্তোরে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যাদের আনতে পারছি না সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোকে বলেছি অন্তত মাসে একবার লোকজন নিয়ে ওই সমস্ত খুনীর বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান করতে। যেন জনগণের কাছে ধিকৃত হয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নেত্তোরে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবষ্কিারে ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দেশই অন্যদেশের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণামূলক কাজ শুরু করেছে। সেখানে আমরা কারো সঙ্গে কাজ শুরু করতে পারলাম না এটা দু:খজনক। আমরা ভ্যাকসিন পেতে ইউরোপে অনেক টাকা দিয়ে রেখেছি।’
ড. একে আব্দুল মোমেন আরো জানান, ‘চীন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিবে এবং চীন প্রায় ৮ হাজার বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছে এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোন বিতর্ক তৈরী হয়নি। এটাকে নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। ভারতের সঙ্গে সুমদ্র, সীমান্ত, নিরাপত্তাসহ আমাদের বড় ধরণের সব সমস্যা দূর হয়েছে। ছোট কিছু সমস্যা ঝুলে আছে। ঠিক হয়ে যাবে। মনে রাখবেন ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আর চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ভারত-চীনের গন্ডগোল এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়। আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করবো। কেননা আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আবার ভারতের বিজয় মানে আমাদের বিজয়।’
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রথমেই তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে, ঢাকার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করেন তিনি।