ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

  • Update Time : ০৫:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 154

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ সাত আসামিকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টারদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, উক্ত মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যান্য আসামি এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন।

পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, টেকনাফ থানার মামলায় আদালত কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্য সাত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ অবহিত হয়।

এরপর প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদের পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকি ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে মামলা দায়ের করেন।

৬ আগস্ট টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিনের আদালতে সাত আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে একই আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকি আসামীদের ২ দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

Update Time : ০৫:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ সাত আসামিকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টারদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, উক্ত মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যান্য আসামি এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন।

পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, টেকনাফ থানার মামলায় আদালত কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্য সাত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ অবহিত হয়।

এরপর প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদের পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকি ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে মামলা দায়ের করেন।

৬ আগস্ট টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিনের আদালতে সাত আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে একই আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকি আসামীদের ২ দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে।