বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বকে মাস্কের ঘর্ষণ ও সেখানে আটকে থাকা ঘাম থেকেই এই ব্রণের সৃষ্টি।
আর তা থেকে পরিত্রাণের উপায় জানিয়েছেন ভারতীয় ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. শোভা সুদিপ।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, “শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় মাস্কের মধ্যে উষ্ণ বাতাস আটকে যায়। এতে সৃষ্টি হয় ‘ডেমোডেক্স’ নামক ব্যাক্টেরিয়া যা শুধু মানুষের ত্বকেই বেঁচে থাকতে পারে এবং এটাই ব্রণ হওয়ার কারণ। এরসঙ্গে যুক্ত হয় মাষ্কের সঙ্গে মুখের ত্বকের ঘর্ষণ যা ব্রণের পাশাপাশি আরও অনেক ত্বকের সমস্যার জন্য দায়ি। আর যাদের ত্বকে আগে থেকেই সমস্যা আছে, তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।”
করণীয় সম্পর্কে ভারতীয় রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ সোয়াতি গুপ্তা বলেন, “ঘন ঘন মুখ ধুতে হবে। সঙ্গে মাস্কও পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। বাইরে যাওয়ার পরিমাণ যেহেতু কম, তাই সাধারণ মেইকআপেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আর অফিসে যদি যেতেই হয় তবে মেইকআপের ক্ষেত্রে শুধু চোখের ওপর মনযোগ দেওয়াই যথেষ্ট।”
“সবসময় হাতের কাছে একাধিক মাস্ক রাখা উচিত। এতে একটি নষ্ট হয়ে গেলে আরেকটি পরতে পারবেন, সঙ্গে মাস্ক পরিষ্কার করে ভালোভাবে শুকানোর পর্যাপ্ত সময়ও পাবেন।”
ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. শোভা বলেন, “ঘরে ফিরে মুখ ধোয়ায় মৃদু ও পানি নির্ভর ফেইসওয়াস ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মৃদু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা ভালো। ব্রণ যদি কিছুতেই না যায় তবে নিজে চিকিৎসা বাদ দিয়ে চিকিৎকের পরামর্শ নিন। ‘জিঙ্ক অক্সাইড’ ও ‘টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড’ আছে এমন সানস্ক্রিন মাস্কের ঘর্ষণ থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “মাস্কের কারণে ব্রণ হওয়ার বিষয়টা চিকিৎসকদের মাঝে বরাবরই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষ ব্যাপকহারে মাস্ক ব্যবহারের কারণেই এর পরিচিতি বেড়েছে। তাই এথেকে সুরক্ষিত থাকতে মেইক-আপ কমাতে হবে। কারুকাজ করা মাস্ক ছেড়ে যতটা সম্ভব মসৃণ উপকরণের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মুখ পরিষ্কারে মৃদু প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। মাস্কের ভেতরে জমা বাষ্প বা ঘাম মুছে নিতে হবে।”