বন্যা ও ভূমিধসের বিরুদ্ধে লড়ছে দ. কোরিয়া

  • Update Time : ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
  • / 157

 

গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায়  বন্যা ও ভূমিধসে দেড় সহস্রাধিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৫ জন দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্যায় রাজধানী সিউলের কিছু অংশের রাস্তাঘাট ও সেতু ডুবে গেছে। ৫ হাজার ৭৫১ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই কিয়ান গিয়নগি ও চুংশেং প্রদেশকে ‘বিশেষ দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

যদিও মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে এটা হয়েছে,তারপরও গত সাত বছরের মধ্যে বন্যা এতো ভয়াবহ রুপ ধারণ করেনি। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তাদের আশঙ্কা, আশ্রয় শিবিরে অনেক মানুষ একসাথে থাকায় সেখানে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেননা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি তেমন একটা মানা হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যারা এখনো নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে যেতে পারেননি তাদেরকে দ্রুত সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত জিমনেশিয়াম ও কমিউনিটি শেল্টারে তাদের রাখা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক ডাকেন।

তিনি প্রাণহানি ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে উত্তর কোরিয়ায়ও তা দেখা দিতে পারে বলে পিয়ংপিয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বন্যা ও ভূমিধসের বিরুদ্ধে লড়ছে দ. কোরিয়া

Update Time : ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০

 

গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায়  বন্যা ও ভূমিধসে দেড় সহস্রাধিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৫ জন দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্যায় রাজধানী সিউলের কিছু অংশের রাস্তাঘাট ও সেতু ডুবে গেছে। ৫ হাজার ৭৫১ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই কিয়ান গিয়নগি ও চুংশেং প্রদেশকে ‘বিশেষ দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

যদিও মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে এটা হয়েছে,তারপরও গত সাত বছরের মধ্যে বন্যা এতো ভয়াবহ রুপ ধারণ করেনি। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তাদের আশঙ্কা, আশ্রয় শিবিরে অনেক মানুষ একসাথে থাকায় সেখানে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেননা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি তেমন একটা মানা হচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যারা এখনো নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে যেতে পারেননি তাদেরকে দ্রুত সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত জিমনেশিয়াম ও কমিউনিটি শেল্টারে তাদের রাখা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক ডাকেন।

তিনি প্রাণহানি ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে উত্তর কোরিয়ায়ও তা দেখা দিতে পারে বলে পিয়ংপিয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।