তৃষ্ণার্তের জলছত্র
- Update Time : ১১:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০
- / 165
একদিকে মরণব্যাধি আরেকদিকে গেহ পরিণত ঘাটে,
আঙিনায় বহে স্রোতস্বিনীর ধারা—দেখিয়া পরান ফাটে।
কত যে করুণ-নিদারুণ হেন পরিণতিতে পতিত বিশ্ববাসী,
অন্নাভাবে ধুঁকছে কতশত-সহস্র জন, গলায় পরিছে ফাঁসি!
আহা মরি মরি সংকেতহীন কত যাতনায় পড়িয়াছি,
পরান বারেবারে দেহ ছাড়িয়া যায়, তবু বাঁচিয়া আছি।
জল বিনে মীন দেখিয়াছ কভু থেকেছে কোথা জীয়ে,
‘মানুষ মানুষের তরে’ বৃথা কি সকলি এ প্রেম-বাণী শুনিয়ে?
টইটম্বুর বানের জল ফুলিয়া হইয়াছে সুমেরু শিখর জিনি,
হরষে যাহার পরান যেমতি রহিয়াছে, রহিবে তো তেমনি?
পরকে আপন করিলে কভু পিরিত মিলয়ে তারে,
সকলি সমর্পিয়া একমন হইলেই সুখ ভব সংসারে।
পরের শোকে যাহার হৃদয় উঠে কম্পিয়া, নাড়া দেয় বিবেক,
ভাঙনকে সে যেমতি গড়িতে পারে, দুই করিতে পারে এক।
সাহায্যের হাত বাড়াও তুমি, ক্ষণিকের হে ধনবান-ধনকুবের,
পিঞ্জিরার পাখি বাঁচাও তুমি, জলছত্র হও তৃষ্ণার্ত পথিকের!
লেখকঃ শিক্ষার্থী, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।