অবশেষে ভাঙনে নদীগর্ভে গেলো চাঁদপুরে নব-নির্মিত সাইক্লোন সেল্টারটি

  • Update Time : ০৩:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
  • / 146

আশিক বিন রহিম।।

২ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার। ৩ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যায় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

গত প্রায় ১ মাস ধরে উজান থেকে নেমে আসা পদ্ম-মেঘনার প্রবল স্রোতে চারপাশের মাটি সরে গিয়ে স্থাপনাটি নদী বেষ্টিত হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। ১ সপ্তাহ ধরে প্রবল স্রোতের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে আজ (২৩ জুলাই)  ভোরে ওই স্থানে নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় পাইলের মাটি সরে গিয়ে ভবনটি ঢেবে গিয়ে হেলে পড়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারের কাজের মান ঠিক থাকলেও সাইড সিলেকশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারনে সরকারের এতোগুলো টাকা জলে গেলো। তাছাড়া এই প্রকল্পের বরাদ্দ আসার আগ থেকেই স্কুৃল কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসসীর দাবি ছিলো ৮ বার নদী ভাঙনের শিকার (ইউনিয়নের একমাত্র হাইস্কুল) রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুলটি নয়া বরাদ্দে যেনো একটি ভাসমান স্কুল করা হয়। এতে একদিকে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা বেঁচে যাবে, অন্যদিকে তেমনি শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসার বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে যাবে। কারণ ভাসমান স্কুলের সাথে দুটি ইঞ্জিন চালিত স্টিলের নৌকা দিয়ে দিলে সেটিতে চরে শিক্ষার্থীরা সহযে স্কুলে পৌছাতে পারতো।

তাই এমন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে নদীবিধৌত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সেখানে একটি ভাসমান হাই স্কুল করার দাবী জানাচ্ছি। কারন এই ইউনিয়নে অনেকগুলো প্রাইমারী স্কুল থাকলেও একটিমাত্র হাইস্কুল এই ‘ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অবশেষে ভাঙনে নদীগর্ভে গেলো চাঁদপুরে নব-নির্মিত সাইক্লোন সেল্টারটি

Update Time : ০৩:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

আশিক বিন রহিম।।

২ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার। ৩ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যায় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

গত প্রায় ১ মাস ধরে উজান থেকে নেমে আসা পদ্ম-মেঘনার প্রবল স্রোতে চারপাশের মাটি সরে গিয়ে স্থাপনাটি নদী বেষ্টিত হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। ১ সপ্তাহ ধরে প্রবল স্রোতের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে আজ (২৩ জুলাই)  ভোরে ওই স্থানে নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় পাইলের মাটি সরে গিয়ে ভবনটি ঢেবে গিয়ে হেলে পড়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারের কাজের মান ঠিক থাকলেও সাইড সিলেকশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারনে সরকারের এতোগুলো টাকা জলে গেলো। তাছাড়া এই প্রকল্পের বরাদ্দ আসার আগ থেকেই স্কুৃল কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসসীর দাবি ছিলো ৮ বার নদী ভাঙনের শিকার (ইউনিয়নের একমাত্র হাইস্কুল) রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুলটি নয়া বরাদ্দে যেনো একটি ভাসমান স্কুল করা হয়। এতে একদিকে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা বেঁচে যাবে, অন্যদিকে তেমনি শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসার বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে যাবে। কারণ ভাসমান স্কুলের সাথে দুটি ইঞ্জিন চালিত স্টিলের নৌকা দিয়ে দিলে সেটিতে চরে শিক্ষার্থীরা সহযে স্কুলে পৌছাতে পারতো।

তাই এমন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে নদীবিধৌত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সেখানে একটি ভাসমান হাই স্কুল করার দাবী জানাচ্ছি। কারন এই ইউনিয়নে অনেকগুলো প্রাইমারী স্কুল থাকলেও একটিমাত্র হাইস্কুল এই ‘ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়।