ফাহিম হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ?

  • Update Time : ০৭:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
  • / 191

নিউ ইয়র্কে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ থাকতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের ‘পাঠাও’ ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকাডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। তিনি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামের প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত এনওয়াইপিডির হোমিসাইড বিভাগের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, ফাহিমের হত্যাকারীর মোটিভ আর্থিক প্রকৃতির বলে দৃশ্যমান হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, কোনও খারাপ বাণিজ্যিক চুক্তির ফলে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাহিমকে টার্গেট করা হত্যা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীরা নিহতের বাণিজ্যিক সবকিছু খতিয়ে দেখছেন সম্ভাব্য মোটিভ ও সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার জন্য।

এনবিসি নিউ ইয়র্ককে ফাহিমের এক বন্ধু বলেন, আমার মনে হয় এই ঘটনায় বিদেশিরা জড়িত, তারা হয়তো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পেশাদার খুনি ভাড়া করেছে। হতে পারে ওই খুনি এখন বিমানে রয়েছে।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তারা সম্ভাব্য সব কিছু খতিয়ে দেখছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেছে যে ব্যক্তি ফাহিমকে অনুসরণ করেছে তার মুখ ঢাকা ছিল। সে একেবারে নিনজা পোশাক পরা ছিল। ফলে আমরা তার চেহারা দেখতে পারছি না।

পুলিশকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যের সান ইউকে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওই ব্যক্তি জানতো কী করছে। আমাদের মনে হয় তার লক্ষ্য লাশের খণ্ডাংশগুলো কোথাও ফেলে দেওয়া এবং আবার অ্যাপার্টমেন্টে এসে সবকিছু আগের মতো রেখে ঠিক করা। যাতে মনে হয় এখানে কিছুই ঘটেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে এসব করার আগেই চলে যেতে হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি বিস্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডটি আন্তর্জাতিক কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নাইজেরিয়ার লাগোস স্টেট পুলিশ কমান্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ কোনও তদন্ত করছে না। তবে কোনও কিছু যদি তাদের দেশকে ইঙ্গিত করে তাহলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফাহিম হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ?

Update Time : ০৭:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০

নিউ ইয়র্কে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ থাকতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের ‘পাঠাও’ ছাড়াও নাইজেরিয়ায় ‘গোকাডা’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। তিনি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামের প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত এনওয়াইপিডির হোমিসাইড বিভাগের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, ফাহিমের হত্যাকারীর মোটিভ আর্থিক প্রকৃতির বলে দৃশ্যমান হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, কোনও খারাপ বাণিজ্যিক চুক্তির ফলে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাহিমকে টার্গেট করা হত্যা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীরা নিহতের বাণিজ্যিক সবকিছু খতিয়ে দেখছেন সম্ভাব্য মোটিভ ও সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার জন্য।

এনবিসি নিউ ইয়র্ককে ফাহিমের এক বন্ধু বলেন, আমার মনে হয় এই ঘটনায় বিদেশিরা জড়িত, তারা হয়তো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পেশাদার খুনি ভাড়া করেছে। হতে পারে ওই খুনি এখন বিমানে রয়েছে।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তারা সম্ভাব্য সব কিছু খতিয়ে দেখছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেছে যে ব্যক্তি ফাহিমকে অনুসরণ করেছে তার মুখ ঢাকা ছিল। সে একেবারে নিনজা পোশাক পরা ছিল। ফলে আমরা তার চেহারা দেখতে পারছি না।

পুলিশকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যের সান ইউকে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওই ব্যক্তি জানতো কী করছে। আমাদের মনে হয় তার লক্ষ্য লাশের খণ্ডাংশগুলো কোথাও ফেলে দেওয়া এবং আবার অ্যাপার্টমেন্টে এসে সবকিছু আগের মতো রেখে ঠিক করা। যাতে মনে হয় এখানে কিছুই ঘটেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে এসব করার আগেই চলে যেতে হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি বিস্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডটি আন্তর্জাতিক কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নাইজেরিয়ার লাগোস স্টেট পুলিশ কমান্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ কোনও তদন্ত করছে না। তবে কোনও কিছু যদি তাদের দেশকে ইঙ্গিত করে তাহলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত তারা।