মতলবে জোয়ারের পানির নিচে আশ্রয়ণ প্রকল্প
- Update Time : ০৮:৩৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
- / 261
মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে গত ১৫ দিন ধরে সেখানকার শতাধিক লোক পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে গত বছরের মাঝামাঝিতে উপজেলার চরপাথালিয়া গ্রামে ধনাগোদা নদীর তীরে আট একরের বেশি জায়গায় গরিব-দুস্থ, গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহনির্মাণের কাজ শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর তদারকিতে ৫টি ভবনে ১৩৫টি কক্ষ (ঘর) নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষার শুরুতে জোয়ারের পানিতে সেখানকার পাঁচটি একতলা ব্যারাকের (ভবন) প্রতিটি ঘরের মেঝ ও বারান্দা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব মেঝ ও বারান্দায় দৃশ্যত দু-তিন ফুট উচ্চতার পানি। ভবনগুলোর সামনের মাঠও তলিয়ে গেছে পানিতে।
এসব ভবনে বসবাসরত (আশ্রিত) ১৫টি পরিবারের শতাধিক লোক পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। কেউ কেউ ঘরের মেঝে ইট বিছিয়ে চৌকি উঁচু করে ছেলেমেয়ে, বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়ে গাদাগাদি করে থাকছেন। উপায় না দেখে দু-তিনটি পরিবার পাশের বেড়িবাঁধে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
চরপাথালিয়া গ্রামের বসবাসরত স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঘর গুলো নিচু জায়গায় বানাইছে সেজন্য এতো তারাতাড়ি ডুবে গেছে প্রতিবছরই বর্ষার সময় আমাদের এখানে এমন পানি হয় আর বন্যার পানি আসলে তো এর চাইতে বেশি পানি হয় সেজন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা ভরাট করে উচু করে তারপর ঘর বানাইলে ভালো হইতো।
আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘কয়েক মাস ধইরা পরিবার নিয়া এনো উঠছি। কয়েক দিন ধইরা ধনাগোদা নদী ও বন্যার পানি বাড়তাছে। ১০-১২ দিন আগে আমাগো ঘরের মেঝ ও বারান্দা পানির নিচে ডুইব্বা যায়। ঘরের সামনের মাঠটাতেও চার-পাঁচ ফুট পানি। পানির লইগা ঘর থেইক্কা বাহির অইতে পারতাছি না। কোনো রহমে আছি। খুব কষ্ট লাগতাছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা হক বলেন, গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসব ঘর তারা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর ঘরের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মতলব পৌর এলাকার গরিব-দুস্থ ও গৃহহীন লোকদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। ৫০টি পরিবার ঘরের জন্য আবেদন করলেও নানা কারণে সবাইকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া যায়নি। ১৫টি পরিবারকে প্রাথমিকভাবে একটি করে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে প্রায় ১০০ লোক প্রাথমিকভাবে বাস করছেন