পুলিশের জন্য মার্কিন দূতাবাসের সুরক্ষা সামগ্রী

  • Update Time : ০৬:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০
  • / 153

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ফার্স্ট রেসপন্ডারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিয়েছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা বুধবার (৮ জুলাই) পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে পিপিই সহায়তা দেয়ার পরিকল্পিত কার্যক্রমের চতুর্থ অনুদান।

এখন পর্যন্ত শুধু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা) মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪৩.৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার ও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমেও সাহায্য ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করেছে তার মধ্যে রয়েছে ৪০০০ কেএন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০০ মিলিলিটারের ৩২০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৪০০০ জোড়া সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৫৫০ পাউন্ড গুঁড়া ব্লিচ, ২২টি জীবাণুনাশক ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ারস, ৭০০টি মুখ ঢাকার শিল্ড এবং ২৫টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। সবগুলো উপকরণ স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের দেয়া পিপিই পুলিশ বিভাগের সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষিত রেখে বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে সহায়তা করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এই মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা কর্মকাণ্ডে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওদের ১.৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশি সংস্থাগুলোকে দেশব্যাপী কাজের জন্য সহায়তা করে চলেছে যা বিগত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশ কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা, কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ফার্স্ট রেসপন্ডারদের পিপিই দিয়েছে।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য ফার্স্ট রেসপন্ডাররা, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী কর্মী, কাস্টমস কর্মকর্তা, মুদি ও ওষুধের দোকানে কর্মরত কর্মী, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে যারা প্রতিদিন অসাধারণভাবে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, তারাই সত্যিকারের নায়ক। এই মহামারি মোকাবিলার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করতে এবং দুই দেশের মধ্যকার গভীর সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পুলিশের জন্য মার্কিন দূতাবাসের সুরক্ষা সামগ্রী

Update Time : ০৬:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ফার্স্ট রেসপন্ডারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিয়েছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা বুধবার (৮ জুলাই) পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে পিপিই সহায়তা দেয়ার পরিকল্পিত কার্যক্রমের চতুর্থ অনুদান।

এখন পর্যন্ত শুধু স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা) মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪৩.৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার ও সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মাধ্যমেও সাহায্য ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করেছে তার মধ্যে রয়েছে ৪০০০ কেএন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০০ মিলিলিটারের ৩২০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৪০০০ জোড়া সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৫৫০ পাউন্ড গুঁড়া ব্লিচ, ২২টি জীবাণুনাশক ব্যাকপ্যাক স্প্রেয়ারস, ৭০০টি মুখ ঢাকার শিল্ড এবং ২৫টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। সবগুলো উপকরণ স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে দেশব্যাপী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের দেয়া পিপিই পুলিশ বিভাগের সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষিত রেখে বাংলাদেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে সহায়তা করবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এই মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা কর্মকাণ্ডে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওদের ১.৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশি সংস্থাগুলোকে দেশব্যাপী কাজের জন্য সহায়তা করে চলেছে যা বিগত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি স্বাস্থ্য সহায়তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশ কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা, কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ফার্স্ট রেসপন্ডারদের পিপিই দিয়েছে।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য ফার্স্ট রেসপন্ডাররা, স্বাস্থ্যসেবাদানকারী কর্মী, কাস্টমস কর্মকর্তা, মুদি ও ওষুধের দোকানে কর্মরত কর্মী, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে যারা প্রতিদিন অসাধারণভাবে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, তারাই সত্যিকারের নায়ক। এই মহামারি মোকাবিলার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করতে এবং দুই দেশের মধ্যকার গভীর সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।