কথাসাহিত্যিক মকবুলা মনজুর মারা গেছেন

  • Update Time : ০৫:২১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
  • / 151
কথাসাহিত্যিক মকবুলা মনজুর মারা গেছেন।শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উত্তরায় নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৩৮ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান ও মায়ের নাম মাহমুদা খাতুন। বাবা মিজানুর রহমান লেখালেখি করতেন।

লেখালিখিতে বিশেষ অবদানের জন্য মকবুলা মনজুর অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে-আর এক জীবন, জল রং ছবি, আত্মজা ও আমরা, কনে দেখা আলো ইত্যাদি।

১৯৫২ সালে তিনি টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং ১৯৫৮ সালে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

তৎকালীন মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকে (বর্তমান রূপালী ব্যাংক) অফিসার হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়া। তাই প্রায় অর্ধেক বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়-এ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের মেয়ের মাঠে পতাকা পুততে চাইলে একজন শিক্ষক বাঁধা দেন। তখন তিনি সেখানে পতাকা পুতে দিয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসেন।

পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি উইমেন্স কলেজ ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করান। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি প্রায় ২৫ বছর সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার ফিচার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকার ফিচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কথাসাহিত্যিক মকবুলা মনজুর মারা গেছেন

Update Time : ০৫:২১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
কথাসাহিত্যিক মকবুলা মনজুর মারা গেছেন।শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উত্তরায় নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৩৮ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান ও মায়ের নাম মাহমুদা খাতুন। বাবা মিজানুর রহমান লেখালেখি করতেন।

লেখালিখিতে বিশেষ অবদানের জন্য মকবুলা মনজুর অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে-আর এক জীবন, জল রং ছবি, আত্মজা ও আমরা, কনে দেখা আলো ইত্যাদি।

১৯৫২ সালে তিনি টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং ১৯৫৮ সালে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

তৎকালীন মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকে (বর্তমান রূপালী ব্যাংক) অফিসার হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়া। তাই প্রায় অর্ধেক বেতনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়-এ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের মেয়ের মাঠে পতাকা পুততে চাইলে একজন শিক্ষক বাঁধা দেন। তখন তিনি সেখানে পতাকা পুতে দিয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসেন।

পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি উইমেন্স কলেজ ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করান। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি প্রায় ২৫ বছর সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার ফিচার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকার ফিচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।