কৌশলে ২৪ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ব্যবসায়িক পার্টনারের!

  • Update Time : ০৪:০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • / 166

 

পুরোন ঢাকার হক মার্কেটে যৌথভাবে দুই ব্যবসায়ী ফেব্রিক্স ব্যবসা করেন। ব্যাংক থেকে গত মঙ্গলবার ২৫ লক্ষ টাকা তোলেন ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল ইসলাম মিঠু। সেখান থেকে তিনি এক লক্ষ টাকা পাওয়াদারকে দেন। বাকি থাকে ২৪ লক্ষ টাকা। এই টাকাটা দোকানের টেবিলের নিচে রাখেন এই ব্যবসায়ী। এরপর জোহরের নামাজ পড়বেন বলে মিঠু তার ব্যবসায়িক পার্টনার মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিপন ও দোকানের কর্মী ইমরানের জিম্মায় এই টাকাগুলো রেখে তিনি বাইরে যান।

কিছুক্ষণ পরে দোকানকর্মী ইমরান মিঠুকে ফোন করে জানান রিপন তাকে চা আনার জন্য পাঠালে তিনি বাইরে যান এবং চা নিয়ে দোকানে এসে দেখেন দোকানে রিপন নাই এবং দোকানে রাখা টাকাগুলোও নাই।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিম মোঃ জুয়েল ইসলাম মিঠু (৩২) টাকা চুরির খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর তিনি কোতয়ালী থানায় একটা মামলা করেন।

কোতয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল আলম মুজাহিদ আসামী গ্রেফতার ও চোরাইকৃত টাকা উদ্ধারে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।

তিনি জানান, শুরুতে পুলিশের নানা কৌশল কাজে আসছিলো না। আসামী বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। কিন্তু থেমে থাকার পাত্র নন পুলিশের উদ্যমী ও তরুন এই কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে নামা পুলিশের দলটি।

পুলিশ জানান, দুই দিন একটানা পরিশ্রম ও নানা কৌশল অবলম্বন করেন তারা। আসামীদের অবস্থান অনুসরন করে পুলিশ পৌছে যান খুলনায়। সেখানে গিয়েও পুলিশের এই দলকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। আসামী টাকা নেওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করতে থাকেন।

কিন্তু একজন অপরাধী যতই মিথ্যা বলুক আর কৌশল অবলম্বন করুক, পুলিশের কৌশলের কাছে তার সে চালাকি একেবারেই নস্যি। অবশেষে টাকা চুরির ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে সক্ষম হন পুলিশ। আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন চোরাইকৃত টাকাও।

আটক আসামীরা হলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিপন (৩৪), মোঃ অহিদুর রহমান মিলন (২৬) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশ জানান, রিপন ও মিলন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

কোতয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল আলম মুজাহিদ একটি সফল অভিযান করতে পেরে খুশী। তাঁর টিমের কর্মকর্তারাও পরিতৃপ্ত।

তিনি বলেন এই অপারেশন সফল করতে ডিএমপির ইন্টিলিজেন্স এন্ড এনালাইসিস ডিভিশনের (আইএডি) দারুন সহযোগীতা পেয়েছেন। তিনি এজন্য আইএডির কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কৌশলে ২৪ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ব্যবসায়িক পার্টনারের!

Update Time : ০৪:০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

 

পুরোন ঢাকার হক মার্কেটে যৌথভাবে দুই ব্যবসায়ী ফেব্রিক্স ব্যবসা করেন। ব্যাংক থেকে গত মঙ্গলবার ২৫ লক্ষ টাকা তোলেন ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল ইসলাম মিঠু। সেখান থেকে তিনি এক লক্ষ টাকা পাওয়াদারকে দেন। বাকি থাকে ২৪ লক্ষ টাকা। এই টাকাটা দোকানের টেবিলের নিচে রাখেন এই ব্যবসায়ী। এরপর জোহরের নামাজ পড়বেন বলে মিঠু তার ব্যবসায়িক পার্টনার মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিপন ও দোকানের কর্মী ইমরানের জিম্মায় এই টাকাগুলো রেখে তিনি বাইরে যান।

কিছুক্ষণ পরে দোকানকর্মী ইমরান মিঠুকে ফোন করে জানান রিপন তাকে চা আনার জন্য পাঠালে তিনি বাইরে যান এবং চা নিয়ে দোকানে এসে দেখেন দোকানে রিপন নাই এবং দোকানে রাখা টাকাগুলোও নাই।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিম মোঃ জুয়েল ইসলাম মিঠু (৩২) টাকা চুরির খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর তিনি কোতয়ালী থানায় একটা মামলা করেন।

কোতয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল আলম মুজাহিদ আসামী গ্রেফতার ও চোরাইকৃত টাকা উদ্ধারে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।

তিনি জানান, শুরুতে পুলিশের নানা কৌশল কাজে আসছিলো না। আসামী বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। কিন্তু থেমে থাকার পাত্র নন পুলিশের উদ্যমী ও তরুন এই কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে নামা পুলিশের দলটি।

পুলিশ জানান, দুই দিন একটানা পরিশ্রম ও নানা কৌশল অবলম্বন করেন তারা। আসামীদের অবস্থান অনুসরন করে পুলিশ পৌছে যান খুলনায়। সেখানে গিয়েও পুলিশের এই দলকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। আসামী টাকা নেওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করতে থাকেন।

কিন্তু একজন অপরাধী যতই মিথ্যা বলুক আর কৌশল অবলম্বন করুক, পুলিশের কৌশলের কাছে তার সে চালাকি একেবারেই নস্যি। অবশেষে টাকা চুরির ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে সক্ষম হন পুলিশ। আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন চোরাইকৃত টাকাও।

আটক আসামীরা হলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিপন (৩৪), মোঃ অহিদুর রহমান মিলন (২৬) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশ জানান, রিপন ও মিলন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

কোতয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল আলম মুজাহিদ একটি সফল অভিযান করতে পেরে খুশী। তাঁর টিমের কর্মকর্তারাও পরিতৃপ্ত।

তিনি বলেন এই অপারেশন সফল করতে ডিএমপির ইন্টিলিজেন্স এন্ড এনালাইসিস ডিভিশনের (আইএডি) দারুন সহযোগীতা পেয়েছেন। তিনি এজন্য আইএডির কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।