করোনায় মানবসেবায় নিয়োজিত মিরসরাইয়ের ইউএনও রুহুল আমিন

  • Update Time : ০৬:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
  • / 141

কমল পাটোয়ারি,মিরসরাই (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

করোনা মহামারীকালীন নিজে সচেতন থেকে করোনা সংক্রমিত হবে কি হবেনা সে বিষয়টি বিন্দুমাত্র মাথায় না রেখে, সকল প্রকার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে,মিরসরাই উপজেলাবাসীর সার্বিক সেবা প্রদানে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

দেশব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখে দেওয়ার সাথে সাথে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন সর্ব প্রথম তার দায়িত্ব পালনরত এলাকা, মিরসরাই উপজেলায় বসবাসরত সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাহির না হতে এবং কি ভাইরাসটির ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার ক্ষেত্রে ও এই ভাইরাসটি প্রতিরোধে করণীয় বিষয় গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে, তিনি সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে বিভিন্ন সভা সেমিনার করাসহ উপজেলা ব্যাপী তৃণমূল পর্যায় গিয়ে, এই বিষয় সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

দেশব্যাপী করোনার ভয়াবহতা দেখা দেওয়া পূর্ব সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলোকে এই ভাইরাসটির সংক্রমনের কবল থেকে রক্ষা করার লক্ষে, তাদেরকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানে রাখা নিশ্চিত করণে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যখন ধাপে ধাপে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রি প্রদান অব্যাহত রেখেছিল, ঠিক ওই সময়টায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন রাত দিন ক্লান্তিহীন নিজে স্বশরীর উপস্থিত থেকে, তৃণমূল পর্যায়ের কর্মহীন হয়ে ওই সকল প্রান্তিক জনগোষ্টির ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রি পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বর্তমানে যখন এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হতে শরু হলো এই সময় ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন সংক্রমিত হয়েছে বা হচ্ছে এই সংক্রান্ত বিষয় সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাৎক্ষণিক ওই সকল রোগীদের বাড়ীতে গিয়ে, সংক্রমনের ভয়াবহতা রোধে তাদের বাড়ী ঘর গুলি লকডাউন করে দিচ্ছছেন এবং কি লকডাউনের আওতায় থাকা ওইসব পরিবারের খাদ্য নিয়শ্চয়তা অব্যাহত রেখেছেন। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন মানব সেবায় এমনও দৃষ্টান্ত পাওয়াযায়, মহা সংকটময় করোনা মহামারিকালীন তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে এই উপজেলার একাধীক গরীব পরিবারকে লোক চক্ষুর অন্তরালে নগদ অর্থসহ খাদ্য সামগ্রি দিয়ে নিরবে সহযযোগিতা করে যাচ্ছেন।

মানবের সেবা প্রদান ক্ষেত্রে ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন অন্তরে যে, করোনা সংক্রমিত হওয়ার বিষয় কোন ধরণের ভয়ভীতি কাজা করে না, সে ব্যপারে প্রমাণ স্বরুপ বলা যায়, এই যাবৎ মিরসরাই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত যতগুলি মৃত ব্যাক্তির লাশ দাপন হয়েছে, সবগুলি লাশের দাপন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সল্প পরিসরে সম্পন্ন হয়েছে। এই লাশ গুলির প্রতিটি লাশের দাপনকানী ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন কিন্তু স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এই কাজে তিনি ইচ্ছে করলে কিন্তু তার অধীনস্থ যে কোন একজনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে পারতেন।

সংকটময় কালীন দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে নিজে বিপদে পড়বেন অথচ অধীনস্থ কাউকে দায়িত্ব দিয়ে বিপদে পেলতে চান না যিনি, তিনিই হলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতক্ষণ করোনাকালীন দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে মানব সেবায় যার অবদানের কথা তুলে ধরেছি, সেই ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন অফিসকালীন নিজ কর্ম ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে দায়িত্ববধ বিষয় কিছু দিক তুলে ধরছি।মোহাম্মদ রুহুল আমিন মিরসরাই উপজেলায় নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান পরবর্তী এই যাবৎ এই উপজেলার সাধারণ জনগণ তাদের ব্যাক্তিগত কোন কাজ নিয়ে, ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দরবারে গিয়ে তার কাজটি সমাধানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কাউকে এই দরবার থেকে ওই দরবারে গিয়ে ঘুরতে হয়েছে কিনা, সে বিষয়টি আমার জানা নেই।

আমি ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে তার দায়িত্ববোধ বিষয় এতটুকু শুনেছি বা দেখেছি, উনার কাছে যে কোন সাধারণ মানুষ তার কাজ নিয়ে সরাসরি গেলে, তিনি ওই মানুষটিকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে বসতে বলেন এবং তার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। লোকটি বসাথাকা অবস্থায় ইউএনও তার অধীনস্থকে ডেকে কাজ নিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির সামনেই, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করে, যিনি কাজ নিয়ে গেছেন তাকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ কথা হলো বর্তমানে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সাধারণ কোন মানুষ কোন কাজ নিয়ে গেলে তাকে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়না , নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কোন কর্মচারিকে ঘুষ দিতে হয় না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনায় মানবসেবায় নিয়োজিত মিরসরাইয়ের ইউএনও রুহুল আমিন

Update Time : ০৬:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

কমল পাটোয়ারি,মিরসরাই (চট্রগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

করোনা মহামারীকালীন নিজে সচেতন থেকে করোনা সংক্রমিত হবে কি হবেনা সে বিষয়টি বিন্দুমাত্র মাথায় না রেখে, সকল প্রকার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে,মিরসরাই উপজেলাবাসীর সার্বিক সেবা প্রদানে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

দেশব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখে দেওয়ার সাথে সাথে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন সর্ব প্রথম তার দায়িত্ব পালনরত এলাকা, মিরসরাই উপজেলায় বসবাসরত সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাহির না হতে এবং কি ভাইরাসটির ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার ক্ষেত্রে ও এই ভাইরাসটি প্রতিরোধে করণীয় বিষয় গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে, তিনি সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে বিভিন্ন সভা সেমিনার করাসহ উপজেলা ব্যাপী তৃণমূল পর্যায় গিয়ে, এই বিষয় সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

দেশব্যাপী করোনার ভয়াবহতা দেখা দেওয়া পূর্ব সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলোকে এই ভাইরাসটির সংক্রমনের কবল থেকে রক্ষা করার লক্ষে, তাদেরকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানে রাখা নিশ্চিত করণে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে যখন ধাপে ধাপে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রি প্রদান অব্যাহত রেখেছিল, ঠিক ওই সময়টায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন রাত দিন ক্লান্তিহীন নিজে স্বশরীর উপস্থিত থেকে, তৃণমূল পর্যায়ের কর্মহীন হয়ে ওই সকল প্রান্তিক জনগোষ্টির ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রি পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বর্তমানে যখন এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হতে শরু হলো এই সময় ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন সংক্রমিত হয়েছে বা হচ্ছে এই সংক্রান্ত বিষয় সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাৎক্ষণিক ওই সকল রোগীদের বাড়ীতে গিয়ে, সংক্রমনের ভয়াবহতা রোধে তাদের বাড়ী ঘর গুলি লকডাউন করে দিচ্ছছেন এবং কি লকডাউনের আওতায় থাকা ওইসব পরিবারের খাদ্য নিয়শ্চয়তা অব্যাহত রেখেছেন। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন মানব সেবায় এমনও দৃষ্টান্ত পাওয়াযায়, মহা সংকটময় করোনা মহামারিকালীন তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে এই উপজেলার একাধীক গরীব পরিবারকে লোক চক্ষুর অন্তরালে নগদ অর্থসহ খাদ্য সামগ্রি দিয়ে নিরবে সহযযোগিতা করে যাচ্ছেন।

মানবের সেবা প্রদান ক্ষেত্রে ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন অন্তরে যে, করোনা সংক্রমিত হওয়ার বিষয় কোন ধরণের ভয়ভীতি কাজা করে না, সে ব্যপারে প্রমাণ স্বরুপ বলা যায়, এই যাবৎ মিরসরাই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত যতগুলি মৃত ব্যাক্তির লাশ দাপন হয়েছে, সবগুলি লাশের দাপন উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সল্প পরিসরে সম্পন্ন হয়েছে। এই লাশ গুলির প্রতিটি লাশের দাপনকানী ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন কিন্তু স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এই কাজে তিনি ইচ্ছে করলে কিন্তু তার অধীনস্থ যে কোন একজনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাতে পারতেন।

সংকটময় কালীন দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে নিজে বিপদে পড়বেন অথচ অধীনস্থ কাউকে দায়িত্ব দিয়ে বিপদে পেলতে চান না যিনি, তিনিই হলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতক্ষণ করোনাকালীন দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে মানব সেবায় যার অবদানের কথা তুলে ধরেছি, সেই ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিন অফিসকালীন নিজ কর্ম ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে দায়িত্ববধ বিষয় কিছু দিক তুলে ধরছি।মোহাম্মদ রুহুল আমিন মিরসরাই উপজেলায় নির্বাহী অফিসার পদে যোগদান পরবর্তী এই যাবৎ এই উপজেলার সাধারণ জনগণ তাদের ব্যাক্তিগত কোন কাজ নিয়ে, ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দরবারে গিয়ে তার কাজটি সমাধানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কাউকে এই দরবার থেকে ওই দরবারে গিয়ে ঘুরতে হয়েছে কিনা, সে বিষয়টি আমার জানা নেই।

আমি ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে তার দায়িত্ববোধ বিষয় এতটুকু শুনেছি বা দেখেছি, উনার কাছে যে কোন সাধারণ মানুষ তার কাজ নিয়ে সরাসরি গেলে, তিনি ওই মানুষটিকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে বসতে বলেন এবং তার কাজটি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। লোকটি বসাথাকা অবস্থায় ইউএনও তার অধীনস্থকে ডেকে কাজ নিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির সামনেই, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করে, যিনি কাজ নিয়ে গেছেন তাকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ কথা হলো বর্তমানে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সাধারণ কোন মানুষ কোন কাজ নিয়ে গেলে তাকে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়না , নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কোন কর্মচারিকে ঘুষ দিতে হয় না।