চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির এলাকা লকডাউন, দেওয়া হলো মৌসুমী ফল

  • Update Time : ০১:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
  • / 168
চাঁদপুর প্রতিনিধি:
 
চাঁদপুর পৌর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ি চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যক্রমে নেমেছে জেলা প্রশাসন।এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লাল নিশান উড়িয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়। সেই সাথে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, মৌসুমি ফলসহ ওষুধ সামগ্রী।
 
সোমবার দিনব্যাপি একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং রিক্সা চালকদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের সতর্ক করেন। একাধিকবার ব্যবহার করা যায় মানসম্মত ২০০টি মাস্ক চালকদের মাঝে বিতরণ করেন। চাঁদপুর শহরের ১২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোড মুন্সিবাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই ঘরটি লকডাউন করে দেয়া হয়। ওই ঘরের অন্যান্য সদস্যদের কে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রোগীর জন্য নানান প্রকারের মৌসুমী ফল দেওয়া হয়।

এ সময় পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের গুনরাজদী মহরম আব্দুর রশিদ পাটোয়ারি ডিবিসি সড়কটি দুই প্রান্ত বন্ধ করে দিয়ে লাল নিশানা উড়িয়ে ওই এলাকাটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। চাঁদপুর শহরের সর্বাধিক করোনা রোগী এই এলাকায় শনাক্ত হয় বলে জানা যায়।এই এলাকায় সংক্রমিত দুটি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রকার ফল দেওয়া হয়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন গতকাল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, সে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, জেলায় যে সকল বাড়ি বা বহুতল ভবনে করোনা রোগীর শনাক্ত হবে, শুধু ওই বাড়ি বা ওই ভবনটি ললকডাউন করে দেওয়া হবে। আর যেসকল এলাকাতে একাধিক করানো রোগী শনাক্ত হবে ওই এলাকা ললকডাউন করে দেয়া হবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবে জেলা প্রশাসন।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম, স্বেচ্ছাসেবকের প্রধান নেতা ওমর ফারুক, আনসার বাহিনী ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির এলাকা লকডাউন, দেওয়া হলো মৌসুমী ফল

Update Time : ০১:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
চাঁদপুর প্রতিনিধি:
 
চাঁদপুর পৌর এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ি চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যক্রমে নেমেছে জেলা প্রশাসন।এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লাল নিশান উড়িয়ে লকডাউন করে দেওয়া হয়। সেই সাথে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, মৌসুমি ফলসহ ওষুধ সামগ্রী।
 
সোমবার দিনব্যাপি একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং রিক্সা চালকদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের সতর্ক করেন। একাধিকবার ব্যবহার করা যায় মানসম্মত ২০০টি মাস্ক চালকদের মাঝে বিতরণ করেন। চাঁদপুর শহরের ১২নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোড মুন্সিবাড়ির ৬২ বছর বয়সী এক মহিলা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই ঘরটি লকডাউন করে দেয়া হয়। ওই ঘরের অন্যান্য সদস্যদের কে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রোগীর জন্য নানান প্রকারের মৌসুমী ফল দেওয়া হয়।

এ সময় পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের গুনরাজদী মহরম আব্দুর রশিদ পাটোয়ারি ডিবিসি সড়কটি দুই প্রান্ত বন্ধ করে দিয়ে লাল নিশানা উড়িয়ে ওই এলাকাটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। চাঁদপুর শহরের সর্বাধিক করোনা রোগী এই এলাকায় শনাক্ত হয় বলে জানা যায়।এই এলাকায় সংক্রমিত দুটি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রকার ফল দেওয়া হয়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন গতকাল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, সে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, জেলায় যে সকল বাড়ি বা বহুতল ভবনে করোনা রোগীর শনাক্ত হবে, শুধু ওই বাড়ি বা ওই ভবনটি ললকডাউন করে দেওয়া হবে। আর যেসকল এলাকাতে একাধিক করানো রোগী শনাক্ত হবে ওই এলাকা ললকডাউন করে দেয়া হবে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবে জেলা প্রশাসন।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম, স্বেচ্ছাসেবকের প্রধান নেতা ওমর ফারুক, আনসার বাহিনী ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন।