মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাসিম

  • Update Time : ০৭:১৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
  • / 222

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও অন্যান্যরা মোহাম্মদ নাসিমকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। পরে তাকে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম এবং ১০টা ৩৫ মিনিটে বনানীতে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ নাসিম।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ভেন্টিলেশন মেশিনের সাহায্যে তিনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতাকে।

মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাসিম

Update Time : ০৭:১৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও অন্যান্যরা মোহাম্মদ নাসিমকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। পরে তাকে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম এবং ১০টা ৩৫ মিনিটে বনানীতে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ নাসিম।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ জুন শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পরে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। গত ৫ জুন ভোররাতে ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর থেকেই গভীর অচেতন অবস্থায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ভেন্টিলেশন মেশিনের সাহায্যে তিনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতাকে।

মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।