আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন

  • Update Time : ০৭:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
  • / 300

 

মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ সামিঃ

আমরা কেউ কি বলতে পারবো কবে কখন এবং কিভাবে মারা যাবো? নিশ্চয়ই না, কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে কেউ কোন কারণে অসুস্থ হলেই কানাঘুষা শুরু হয়ে যায় আর করোনার কোন উপসর্গ হলে তো কথাই নাই, মনে হয় অসুস্থ ব্যক্তি বা তার পরিবার যেন সমাজের কাছে বিশেষ কোন অপরাধ করে ফেলেছে?

রোগটা মনে হয় সে ইচ্ছা করেই তার ভিতরে নিয়ে আসছে, এসব অসুস্থ মন, অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা কে আমাদের পরিবর্তন করে দিবে কিংবা আমরা কবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন করবো?

আমরা কেন বুঝি না সুস্থতা, অসুস্থতা, হায়াত, মউত, রিজিক সব কিছুই আমাদের আয়ত্ত্বের বাহিরে। আল্লাহ যে এগুলো আমাদের বলেই দিয়েছেন যে, ”কেউ জানে না, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে, আর কেউ জানে না, কোন স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সম্যক।’’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ৩৪।

অতএব, এই সব দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এই মহামারি মধ্যে মৃত্যুর মিছিল দেখেও যদি পরিবর্তন হতে না পারি তাহলে এ জীবনে আর পরিবর্তন ভাগ্যে আছে কিনা এক মাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছে জাহেলিয়াতের যুগের দিকে চলে যাচ্ছি।

এখনও দেখা যায় কিছু মানুষ সামাজিক মাধ্যম গুলোতে স্ট্যাটাস দিয়ে ছোট্ট করে একটা গালি বা কটুক্তি করে অথচ ইচ্ছা করলেই ইতিবাচক সমালোচনার মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ করে দেয়া যায়।

কে জানে এই যাত্রায় কবে কে চলে যাওয়া লাগে। তাই এই মহামারি থেকে বাচার জন্যে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সংশোধন করে নেই। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ”আর তোমার পালনকর্তা এমন নন যে, তিনি জনবসতিগুলোকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দেবেন, অথচ সেখানকার লোকেরা সংশোধনে লিপ্ত”। (সুরা হুদ, আয়াত-১১৭)।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের দেশ ও দেশের সকল মানুষকে হেফাজত করুন এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিন, আমিন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন প্রয়োজন

Update Time : ০৭:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

 

মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ সামিঃ

আমরা কেউ কি বলতে পারবো কবে কখন এবং কিভাবে মারা যাবো? নিশ্চয়ই না, কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে কেউ কোন কারণে অসুস্থ হলেই কানাঘুষা শুরু হয়ে যায় আর করোনার কোন উপসর্গ হলে তো কথাই নাই, মনে হয় অসুস্থ ব্যক্তি বা তার পরিবার যেন সমাজের কাছে বিশেষ কোন অপরাধ করে ফেলেছে?

রোগটা মনে হয় সে ইচ্ছা করেই তার ভিতরে নিয়ে আসছে, এসব অসুস্থ মন, অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা কে আমাদের পরিবর্তন করে দিবে কিংবা আমরা কবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন করবো?

আমরা কেন বুঝি না সুস্থতা, অসুস্থতা, হায়াত, মউত, রিজিক সব কিছুই আমাদের আয়ত্ত্বের বাহিরে। আল্লাহ যে এগুলো আমাদের বলেই দিয়েছেন যে, ”কেউ জানে না, আগামীকাল সে কী অর্জন করবে, আর কেউ জানে না, কোন স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সম্যক।’’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ৩৪।

অতএব, এই সব দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এই মহামারি মধ্যে মৃত্যুর মিছিল দেখেও যদি পরিবর্তন হতে না পারি তাহলে এ জীবনে আর পরিবর্তন ভাগ্যে আছে কিনা এক মাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছে জাহেলিয়াতের যুগের দিকে চলে যাচ্ছি।

এখনও দেখা যায় কিছু মানুষ সামাজিক মাধ্যম গুলোতে স্ট্যাটাস দিয়ে ছোট্ট করে একটা গালি বা কটুক্তি করে অথচ ইচ্ছা করলেই ইতিবাচক সমালোচনার মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ করে দেয়া যায়।

কে জানে এই যাত্রায় কবে কে চলে যাওয়া লাগে। তাই এই মহামারি থেকে বাচার জন্যে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সংশোধন করে নেই। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ”আর তোমার পালনকর্তা এমন নন যে, তিনি জনবসতিগুলোকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দেবেন, অথচ সেখানকার লোকেরা সংশোধনে লিপ্ত”। (সুরা হুদ, আয়াত-১১৭)।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের দেশ ও দেশের সকল মানুষকে হেফাজত করুন এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিন, আমিন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।