ডোমারে অধ্যক্ষ কে লাঞ্চিত করায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
- Update Time : ১১:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
- / 147
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নিলফামারী প্রতিনিধিঃ
.
নিলফামারীর ডোমারে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নে পশ্চিম হরিণচড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান মুক্তি কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে লাঞ্চিত করেছেন উক্ত কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উমা কান্ত রায়। এরই প্রতিবাদে হরিণচড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
বুধবার বিকেলে বাবুর ডাঙ্গা হাট প্রাঙ্গনে হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন শাহ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক ও হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তৈয়বুর রহমান,প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন , নিরঞ্জন রায়, যুব বিষয়ক সম্পাদক হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নিলফামারী জেলা শাখা ও সহ সভাপতি ক্ষএিয় সমিতি রংপুর অঞ্চল, বাবু ভোলা নাথ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নিলফামারী জেলা শাখা, দিননাথ রায়,সহ সভাপতি যুব ঐক্য পরিষদ নিলফামারী জেলা শাখা, মনোরঞ্জন রায় সভাপতি কৃষকলীগ হরিণচড়া ইউনিয়ন, জাকারুল ইসলাম দুখু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ডোমার উপজেলা শাখা, অনিল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক কৃষকলীগ ৯ নং ওয়ার্ড হরিণচড়া ইউনিয়ন, রামকৃষ্ণ বর্ম্মন,সহ সভাপতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হরিণচড়া ইউনিয়ন, লক্ষী রানী,সদস্য হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ডোমার উপজেলা শাখা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
.
এছাড়া ও আওয়ামী লীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
.
এ সময় বক্তারা বলেন গত ৮ জুন রাতে মহিলা বিএম কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উমা কান্ত রায় অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান মুক্তিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে নেয় এবং তাকে লাঞ্চিত করেন।
.
আবার এই উমা কান্ত রায় পরদিন দুপুরে তার নিজের দোষ ঢাকার জন্য স্বাক্ষর না করায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। বক্তারা আরো বলেন, উমা কান্ত রায় অধ্যক্ষ মুক্তি কে লাঞ্চিত করে চরম অপরাধ করেছে, আমরা হরিণচড়া এলাকাবাসী অবিলম্বে এর বিচার দাবী করছি, এবং তার এমন ন্যাক্কার জনক কাজের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এসময় প্রধান বক্তা নিরঞ্জন রায় তার বক্তব্যে বলেন, গত ৮ই জুন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা প্রতিবাদের ব্যানারে মানব বন্ধনে অমরজিৎ সিংহ নিজেকে উপজেলা পূজা কমিটির ভুয়া সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মানব বন্ধনের সভাপতিত্ব করেন।
.
তিনি আরও জানান, আমি হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ এর নাম বলেন।
.
এ বিষয়ে পশ্চিম হরিণচড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান মুক্তি বলেন, ৭ জুন রাতে উমা কান্ত রায় তার বাসায় আমাকে ডেকে নিয়ে যান, আমার সঙ্গে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের একটি ব্যাগ ছিল। আমি তার বাসায় যাওয়া মাএ আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার স্ত্রী সহ কয়েকজন মিলে আমার হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।আমি ব্যাগটি রক্ষা করার চেষ্টা করিলে তারা আমাকে কিল ঘুসি মারতে থাকে এক পর্যায়ে তারা আমার গায়ের পড়নে থাকা সার্টটি টেনে হিচড়ে ছিড়ে ফেলে।পরদিন তারাই আবার আমাকে হেনেস্তা করার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে।আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে সরকারি বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হই। আমি যখন বিএম কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ তখন উক্ত কলেজের সভাপতি ছিলেন উমা কান্ত রায়ের বড়ভাই ললিত রায়।
.
এতোদিন ধরে কলেজটির প্রতি কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিলনা, এখন কলেজটি সরকার এমপিওভুক্ত করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ অপপ্রচার এবং সর্বপরি কলেজটিকে ধংস করার পায়তারা চালাচ্ছে।
.
এ ব্যাপারে মহিলা বিএম কলেজের সাবেক সভাপতি ললিত রায় জানান, আমার সভাপতিত্বে ২০১২ সালে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে অধ্যক্ষ পদে মেহেদী হাসান মুক্তি কে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
তখন থেকে অদ্যবধি মুক্তি অধ্যক্ষ পদে তার দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় অনেকের সহ্য হচ্ছে না, তারা কলেজটিকে ধংস করার পায়তারা চালাচ্ছে।
.
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উমা কান্ত রায়ের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Tag :