করোনাযুদ্ধে দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ৫১ শতাংশের বেশি সদস্য সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত “চিকিৎসা ও সেবায়” সুস্থতার হার দ্রুততার সাথে বাড়ছে।

.

১১ জুন ২০২০ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৬৯৭০ জন করোনা আক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে ৩৫৬০ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। শতকরা হিসাবে সুস্থতার হার ৫১ দশমিক ০৭ শতাংশ।বাংলাদেশ পুলিশের ২৩ জন গর্বিত সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ সেবার দৃপ্ত শপথ বুকে ধারণ করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।

.

পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশ আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সাথে বাড়ছে সুস্থতার হার।

.

করোনাযুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের প্রধান অগ্রসেনানী বাংলাদেশ পুলিশ। এ কারণে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সবার আগে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবুও একবিন্দু দমে না গিয়ে শক্ত মনোবল আর পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ পুলিশ।