নোয়াখালীতে লগডাউনে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর

  • Update Time : ০৫:০৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / 236

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লগডাউন চলাকালে তথাকথিত ‘স্বেচ্ছাসেবকরা’ একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অতি উৎসাহী তরুণরা চালককেও মারধর করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। পরে জেলা প্রশাসক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা ওই স্থান ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে করোনা রেড জোন ঘোষণা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গত ৯ জুন ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ দুই উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। বুধবার ছিল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে একদল যুবক অবস্থান নেন। এদের মধ্যে কতিপয় অতি উৎসাহী যুবক বুধবার সকালে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালান। এসময় হামলাকারীরা চালক, হেলপার ও রোগীর লোকজনদের মারধর করেন এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। জেলা শহর মাইজদী হাউজিং-এর ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টার থেকে বুধবার সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স একজন রোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজেন্ডারে যাচ্ছিল।

অ্যাম্বুলেন্সের মালিক আব্দুর রাজ্জাক শামিম জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি সোনাপুরের কালিতারা কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় পৌঁছালে লকডাউন বাস্তবায়নকারী একদল স্বেচ্ছাসেবক যুবক গাড়ির গতি রোধ করে চালক সুমন, তার সহকারি ও রোগীর লোকজনদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের টহল রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, লকডাউনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা পুলিশ মেনে নেবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নোয়াখালীতে লগডাউনে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর

Update Time : ০৫:০৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লগডাউন চলাকালে তথাকথিত ‘স্বেচ্ছাসেবকরা’ একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অতি উৎসাহী তরুণরা চালককেও মারধর করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। পরে জেলা প্রশাসক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা ওই স্থান ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে করোনা রেড জোন ঘোষণা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গত ৯ জুন ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ দুই উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। বুধবার ছিল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে একদল যুবক অবস্থান নেন। এদের মধ্যে কতিপয় অতি উৎসাহী যুবক বুধবার সকালে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালান। এসময় হামলাকারীরা চালক, হেলপার ও রোগীর লোকজনদের মারধর করেন এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। জেলা শহর মাইজদী হাউজিং-এর ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টার থেকে বুধবার সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স একজন রোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজেন্ডারে যাচ্ছিল।

অ্যাম্বুলেন্সের মালিক আব্দুর রাজ্জাক শামিম জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি সোনাপুরের কালিতারা কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় পৌঁছালে লকডাউন বাস্তবায়নকারী একদল স্বেচ্ছাসেবক যুবক গাড়ির গতি রোধ করে চালক সুমন, তার সহকারি ও রোগীর লোকজনদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের টহল রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, লকডাউনের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা পুলিশ মেনে নেবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।