আর্ত-মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডিসি সুদীপ চক্রবর্ত্তী

  • Update Time : ০৭:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / 299

 

তিনি বলেন, ‘এবারের মিশনটা আসলে একদম অন্যরকম ছিল। বিশ্বে করোনা ভাইরাস একদম নতুন। তবে বিভিন্ন দেশের পুলিশ কীভাবে করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত আমরা নজর রেখেছি। কী কী নির্দেশনা আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের নজরে ছিল তা-ও।‘

গুলশানে করোনা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, ‘আসলে গুলশান ডিপ্লোম্যাটিক জোন। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়েছে এখানে দায়িত্ব পালনে। গুলশান পুলিশের মুল চ্যালেঞ্জটা শুরু হয় চীন এবং ইউরোপ থেকে যখন বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের কাছে যেসব বিদেশ ফেরতের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদেরকে আমরা তিনভাগে ভাগ করেছি। প্রবাসী, বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক। এরপর দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাদের সদস্যদের। আলাদা আলাদা ভাগে দায়িত্ব দেওয়ায় দায়িত্ব পালন বেশ খানিকটা সহজ হয়ে যায় আমাদের। এক হাজার ২৯৩ জন বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ছিল এবং প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের ফোন নম্বরও আমরা নিয়ে এসেছিলাম। যার দ্বারা নিয়মিত আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।’

সচেতনতা বৃদ্ধিতে কয়েক হাজার লিফলেট বানিয়ে তা গুলশান বিভাগে বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা সোসাইটির নেতাদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন অনুশাসন তৈরি করি। এটাও বেশ সুফল দিয়েছে। তারা বাইরে থেকে আসা মানুষদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে সহায়তা করেছে। আমরা বিভিন্ন সুপারশপ ও কাঁচাবাজারে বৃত্ত একে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে উৎসাহ তৈরির পদক্ষেপ নেই। পরবর্তীতে এটা সারা বাংলাদেশেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।‘

এদিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিও চালিয়ে গেছেন গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ চক্রবর্ত্তী। রাস্তার মানুষদের প্রতিদিন নিয়ম করে খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। শুধু নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের জন্যও তিনি নিয়েছেন অনন্য উদ্যোগ। নিজের ফেসবুক পেইজকে এক্ষেত্রে উন্মুক্ত রেখেছেন তিনি। সেখানে খাদ্যসঙ্কটে ভোগা কোনো মধ্যবিত্ত নাগরিক এসএমএস পাঠালেই তার ঠিকানায় খাদ্যসহায়তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ‘টিম ডিসি গুলশান’। এই পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আর্ত-মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডিসি সুদীপ চক্রবর্ত্তী

Update Time : ০৭:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

 

তিনি বলেন, ‘এবারের মিশনটা আসলে একদম অন্যরকম ছিল। বিশ্বে করোনা ভাইরাস একদম নতুন। তবে বিভিন্ন দেশের পুলিশ কীভাবে করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত আমরা নজর রেখেছি। কী কী নির্দেশনা আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের নজরে ছিল তা-ও।‘

গুলশানে করোনা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, ‘আসলে গুলশান ডিপ্লোম্যাটিক জোন। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়েছে এখানে দায়িত্ব পালনে। গুলশান পুলিশের মুল চ্যালেঞ্জটা শুরু হয় চীন এবং ইউরোপ থেকে যখন বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের কাছে যেসব বিদেশ ফেরতের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদেরকে আমরা তিনভাগে ভাগ করেছি। প্রবাসী, বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক। এরপর দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাদের সদস্যদের। আলাদা আলাদা ভাগে দায়িত্ব দেওয়ায় দায়িত্ব পালন বেশ খানিকটা সহজ হয়ে যায় আমাদের। এক হাজার ২৯৩ জন বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ছিল এবং প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের ফোন নম্বরও আমরা নিয়ে এসেছিলাম। যার দ্বারা নিয়মিত আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে।’

সচেতনতা বৃদ্ধিতে কয়েক হাজার লিফলেট বানিয়ে তা গুলশান বিভাগে বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা সোসাইটির নেতাদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন অনুশাসন তৈরি করি। এটাও বেশ সুফল দিয়েছে। তারা বাইরে থেকে আসা মানুষদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে সহায়তা করেছে। আমরা বিভিন্ন সুপারশপ ও কাঁচাবাজারে বৃত্ত একে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে উৎসাহ তৈরির পদক্ষেপ নেই। পরবর্তীতে এটা সারা বাংলাদেশেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।‘

এদিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিও চালিয়ে গেছেন গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ চক্রবর্ত্তী। রাস্তার মানুষদের প্রতিদিন নিয়ম করে খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। শুধু নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্ত নাগরিকদের জন্যও তিনি নিয়েছেন অনন্য উদ্যোগ। নিজের ফেসবুক পেইজকে এক্ষেত্রে উন্মুক্ত রেখেছেন তিনি। সেখানে খাদ্যসঙ্কটে ভোগা কোনো মধ্যবিত্ত নাগরিক এসএমএস পাঠালেই তার ঠিকানায় খাদ্যসহায়তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ‘টিম ডিসি গুলশান’। এই পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।