পঞ্চগড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো অত্যন্ত লাজুক

  • Update Time : ১২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 335

রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে আটোয়ারি উপজেলার ৫নং বলরামপুর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থা অত্যন্ত লাজুক। জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বড় ভবন নির্মাণ হলেও বলরামপুর ইউনিয়নে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিতল ভবন নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে পূর্বে নির্মিত ভবনে গাঁদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। সৌচাগার গুলো তেমন মান সম্মত নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একই সৌচাগার ব্যবহার করছে। আবার সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক একই রুমে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই বেহাল দশার কারণে পড়াশোনার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। ইউনিয়নের চুচুলী বটতলীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা গেছে চারটি রুমের একটি টিনসেট ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে গেছে। এর সৌচাগারটির অবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনিল চন্দ্র বর্মন বলেন, স্কুলের মোট ছাত্রছাত্রী বর্তমানে প্রায় ২০০ জন। করোনার আগে এর সংখ্যা আরো বেশি ছিল।

শিক্ষক ১১জন , চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ৩জন। যদি পুরোমত স্কুলের ক্লাস শুরু হয় তবে সকল শিক্ষার্থীদের একসাথে পাঠদান করা এই অবস্থায় সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষের অনেক সল্ফতা রয়েছে। আবার ইউনিয়নের রানিগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২১৭ জন শিক্ষার্থী , শিক্ষক ১৩জন সহ ১৬ জন অফিস স্টাফ রয়েছে।

গত দুই বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা তেমন কিছু পাই নি। এর আগে জেলা পরিষদ থেকে ১লক্ষ টাকার একটা ঘর পেয়েছিলাম। ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০জোড়া বেঞ্চ ছাড়া আর তেমন কিছু পাই নি। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক দূর থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। গত বন্যায় এই স্কুলটি আশ্রয় শিবির করা হয়। যেখানে এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয় নেয়।

আমাদের নতুন ভবন, আসবাবপত্র, ও সীমানা প্রাচীর করা খুবই জরুরি। বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতায় ও বিভিন্ন ভাবে দেখছি বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ৩তলা, ৪তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে। অথচ আমারা অনেক গাদাগাদি করে ক্লাস করছি। বাথরুমের অবস্থা খুবই খারাপ , অস্বাস্থ্যকর।

অভিভাবকরা জানান, ৫ নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বোদা পৌরসভার মধ্যকার সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ইউনিয়নে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। যার করণে ইউনিয়নটি সকল প্রকার উন্নয়ন হতে বঞ্চিত। সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন বিহীন ভাবে ক্ষমতায় থাকা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এর জন্য অনেকটাই দায়ী বলে মনে করছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পঞ্চগড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো অত্যন্ত লাজুক

Update Time : ১২:২০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে আটোয়ারি উপজেলার ৫নং বলরামপুর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থা অত্যন্ত লাজুক। জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বড় ভবন নির্মাণ হলেও বলরামপুর ইউনিয়নে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিতল ভবন নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে পূর্বে নির্মিত ভবনে গাঁদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। সৌচাগার গুলো তেমন মান সম্মত নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একই সৌচাগার ব্যবহার করছে। আবার সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক একই রুমে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই বেহাল দশার কারণে পড়াশোনার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। ইউনিয়নের চুচুলী বটতলীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা গেছে চারটি রুমের একটি টিনসেট ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে গেছে। এর সৌচাগারটির অবস্থা খুবই অস্বাস্থ্যকর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনিল চন্দ্র বর্মন বলেন, স্কুলের মোট ছাত্রছাত্রী বর্তমানে প্রায় ২০০ জন। করোনার আগে এর সংখ্যা আরো বেশি ছিল।

শিক্ষক ১১জন , চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ৩জন। যদি পুরোমত স্কুলের ক্লাস শুরু হয় তবে সকল শিক্ষার্থীদের একসাথে পাঠদান করা এই অবস্থায় সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষের অনেক সল্ফতা রয়েছে। আবার ইউনিয়নের রানিগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২১৭ জন শিক্ষার্থী , শিক্ষক ১৩জন সহ ১৬ জন অফিস স্টাফ রয়েছে।

গত দুই বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা তেমন কিছু পাই নি। এর আগে জেলা পরিষদ থেকে ১লক্ষ টাকার একটা ঘর পেয়েছিলাম। ইতিপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০জোড়া বেঞ্চ ছাড়া আর তেমন কিছু পাই নি। এই প্রতিষ্ঠানে অনেক দূর থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। গত বন্যায় এই স্কুলটি আশ্রয় শিবির করা হয়। যেখানে এলাকার অনেক মানুষ আশ্রয় নেয়।

আমাদের নতুন ভবন, আসবাবপত্র, ও সীমানা প্রাচীর করা খুবই জরুরি। বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতায় ও বিভিন্ন ভাবে দেখছি বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ৩তলা, ৪তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে। অথচ আমারা অনেক গাদাগাদি করে ক্লাস করছি। বাথরুমের অবস্থা খুবই খারাপ , অস্বাস্থ্যকর।

অভিভাবকরা জানান, ৫ নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বোদা পৌরসভার মধ্যকার সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ইউনিয়নে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। যার করণে ইউনিয়নটি সকল প্রকার উন্নয়ন হতে বঞ্চিত। সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন বিহীন ভাবে ক্ষমতায় থাকা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এর জন্য অনেকটাই দায়ী বলে মনে করছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।