প্রকল্পের বকেয়া অর্থ দ্রুত বরাদ্দের দাবিতে রাজশাহী পাউবো অফিস ঘেরাও

  • Update Time : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • / 201

রাজশাহী প্রতিনিধি:

প্রকল্প ও আপদকালীন জরুরি কাজ বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের বকেয়া অর্থ বরাদ্ধের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিত ঠিকাদাররা।

এ দাবিতে রোববার(২২ আগস্ট)সকালে রাজশাহী পাউবো অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে পাউবো মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাসিক মেয়র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়।

রাজশাহী পাউবো সম্মিলিত ঠিকাদার সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাউবো ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পাউবো ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী চেম্বারের সাবেক পরিচালক জামাত খান,প্রকৌশলী খাজা তারেক, হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রীষ্টান ঐক্যের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমান, ঠিকাদার আতিকুর রহমান, মাসুদ রানা শাহীন, কেএম জোবায়েদ হোসেন জিতু, সাইফুল
ইসলাম টুকু, আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। তারা বলেন, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলও প্রকল্পিত কাজের বিপরীতে সময়মত টাকা পাওয়া যায় না।

ফলে নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এ অবস্থায় ঠিকাদারদের রক্ষায় অবিলম্বে প্রকল্প ও আপদকালীন জরুরি কাজ বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের বকেয়া অর্থ বরাদ্ধের দাবি জানান তারা। কাজের বিপরীতে অর্থ প্রাপ্তিতে ঠিকাদারদের হয়রানি বন্দের দাবি জানানো হয়।

এ দিকে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে যখন বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এমন আপদকালীন ঠিকাদাররা জরুরি ঘোষণাপত্র পাওয়া মাত্রই নদী ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে আসেন।

দ্রত কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিকূলতার সম্মুখিন হতে হয় তাদের। ভরা নদীতে বালু পাওয়া যায় না, বৃষ্টির সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না, নৌকা ব্যবহার করা যায় না, অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে বালু ক্রয় করতে হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আপতকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিঙে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন রোধকল্পে কাজ করে থাকি।

অতিরিক্ত টাকা খরচ করে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য দিনরাত বন্যাকে উপেক্ষা করি। তবে অনেক দিন পরে অত্র দপ্তর থেকে অ্যাসেসমেন্ট কমিটি গঠন করে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে, এই প্রতিবেদন ঠিকমত মূল্যায়ন হয় না। যার ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। বিপর্যয় হই আমরা। প্রয়োজনীয় স্থানীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিক নদী ভাঙ্গনের কাজ সমাপ্ত করে কাজের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত থাকলেও কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় না।

ব্যাংকে ঋণের টাকা দিয়ে ঠিকাদাররা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এ ক্ষেতে কাজের বিপরীতে সময়মত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড অ্যাসেসমেন্ট কমিটির মাধ্যমেই আপদকালীন কাজ চলাকালীন সমন্বয় করে কাজ করলে নদীভাঙ্গনরোধে বড় উপকার হবে। তবে বাস্তবে তা হয় না। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে যখন ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তখন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, শাখা কর্মকর্তারা নদী ভাঙ্গন রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কতিপয় ঠিকাদার ওচাঁপাইনবাবগঞ্জের পাউবোর মুখোশধারীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়ায়।

ঠিকাদাররা বলেন,এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রাজশাহীর চারঘাট বাঘা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ চরবাগডাঙ্গা, নওগাঁ, পাবনা বেড়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাটসহ সারাদেশে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে অথচ লক্ষ করা যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থাকরীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল।

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তারা। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে কার্যাদেশ ও অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানান তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


প্রকল্পের বকেয়া অর্থ দ্রুত বরাদ্দের দাবিতে রাজশাহী পাউবো অফিস ঘেরাও

Update Time : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

রাজশাহী প্রতিনিধি:

প্রকল্প ও আপদকালীন জরুরি কাজ বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের বকেয়া অর্থ বরাদ্ধের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্মিলিত ঠিকাদাররা।

এ দাবিতে রোববার(২২ আগস্ট)সকালে রাজশাহী পাউবো অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে পাউবো মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাসিক মেয়র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়।

রাজশাহী পাউবো সম্মিলিত ঠিকাদার সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাউবো ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পাউবো ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী চেম্বারের সাবেক পরিচালক জামাত খান,প্রকৌশলী খাজা তারেক, হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রীষ্টান ঐক্যের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলার রহমান, ঠিকাদার আতিকুর রহমান, মাসুদ রানা শাহীন, কেএম জোবায়েদ হোসেন জিতু, সাইফুল
ইসলাম টুকু, আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। তারা বলেন, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলও প্রকল্পিত কাজের বিপরীতে সময়মত টাকা পাওয়া যায় না।

ফলে নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এ অবস্থায় ঠিকাদারদের রক্ষায় অবিলম্বে প্রকল্প ও আপদকালীন জরুরি কাজ বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসন এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের বকেয়া অর্থ বরাদ্ধের দাবি জানান তারা। কাজের বিপরীতে অর্থ প্রাপ্তিতে ঠিকাদারদের হয়রানি বন্দের দাবি জানানো হয়।

এ দিকে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে যখন বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয় এমন আপদকালীন ঠিকাদাররা জরুরি ঘোষণাপত্র পাওয়া মাত্রই নদী ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে আসেন।

দ্রত কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিকূলতার সম্মুখিন হতে হয় তাদের। ভরা নদীতে বালু পাওয়া যায় না, বৃষ্টির সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না, নৌকা ব্যবহার করা যায় না, অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে বালু ক্রয় করতে হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আপতকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিঙে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন রোধকল্পে কাজ করে থাকি।

অতিরিক্ত টাকা খরচ করে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য দিনরাত বন্যাকে উপেক্ষা করি। তবে অনেক দিন পরে অত্র দপ্তর থেকে অ্যাসেসমেন্ট কমিটি গঠন করে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে, এই প্রতিবেদন ঠিকমত মূল্যায়ন হয় না। যার ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। বিপর্যয় হই আমরা। প্রয়োজনীয় স্থানীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিক নদী ভাঙ্গনের কাজ সমাপ্ত করে কাজের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত থাকলেও কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় না।

ব্যাংকে ঋণের টাকা দিয়ে ঠিকাদাররা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এ ক্ষেতে কাজের বিপরীতে সময়মত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড অ্যাসেসমেন্ট কমিটির মাধ্যমেই আপদকালীন কাজ চলাকালীন সমন্বয় করে কাজ করলে নদীভাঙ্গনরোধে বড় উপকার হবে। তবে বাস্তবে তা হয় না। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে যখন ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, তখন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, শাখা কর্মকর্তারা নদী ভাঙ্গন রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কতিপয় ঠিকাদার ওচাঁপাইনবাবগঞ্জের পাউবোর মুখোশধারীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়ায়।

ঠিকাদাররা বলেন,এডিপি প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান রাজশাহীর চারঘাট বাঘা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ চরবাগডাঙ্গা, নওগাঁ, পাবনা বেড়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাটসহ সারাদেশে শত শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে অথচ লক্ষ করা যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থাকরীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল।

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তারা। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে কার্যাদেশ ও অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানান তারা।