পরিবেশ দূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণ কাজ করা যাবেনা

  • Update Time : ১১:০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • / 165

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশ দূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণ কাজ করা যাবেনা।

বুধবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব এর সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ, খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও অবৈধ দখল সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণকালে ডিএনসিসির জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য অনুমতি নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, গাইডলাইন কমিটি হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যাতে ডিএনসিসির ৩ জন এবং রিহ্যাবের ২ জন সদস্য অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, হাউজিং কোম্পানিগুলোর অবহেলার কারণে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর উচ্ছিষ্ঠাংশ রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকে এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে ভবন নির্মাণ না করার কারণে পরিবেশ দূষণসহ এডিসের প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক বাড়িতেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান, বনানী ও বারীধারার যেসকল ভবনের বর্জ্য সরাসরি জলাশয় কিংবা ড্রেনে অবমুক্ত করা হয় সেগুলোর নির্গমন পথ কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ উর্ধবতন কর্মকর্তা এবং রিহ্যাব এর প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামীন কাজলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পরিবেশ দূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণ কাজ করা যাবেনা

Update Time : ১১:০১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশ দূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণ কাজ করা যাবেনা।

বুধবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব এর সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ, খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও অবৈধ দখল সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণকালে ডিএনসিসির জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য অনুমতি নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, গাইডলাইন কমিটি হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যাতে ডিএনসিসির ৩ জন এবং রিহ্যাবের ২ জন সদস্য অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, হাউজিং কোম্পানিগুলোর অবহেলার কারণে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর উচ্ছিষ্ঠাংশ রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকে এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে ভবন নির্মাণ না করার কারণে পরিবেশ দূষণসহ এডিসের প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়। মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক বাড়িতেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান, বনানী ও বারীধারার যেসকল ভবনের বর্জ্য সরাসরি জলাশয় কিংবা ড্রেনে অবমুক্ত করা হয় সেগুলোর নির্গমন পথ কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ উর্ধবতন কর্মকর্তা এবং রিহ্যাব এর প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামীন কাজলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।