বেনাপোলে ৮ লাখ টাকা,মটর সাইকেল,ও পিস্তলসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

  • Update Time : ১০:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 263
মো: সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):
যশোর জেলা পুলিশ সুপারের দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তায় শার্শা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত না হতেই ছিনতাইকৃত ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা,১ টি ওয়ান শুটারগান এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মটর সাইকেল সহ তিনজন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে শার্শা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা।
.
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিমুল হোসেন টুটুল পিতা:-খলিলুর রহমান শার্শা উপজেলাধীন নাভারন বাজারস্থ ডাচ্ বাংলা এজেন্ট স্টল থেকে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেখান থেকে তিনি নিজ মটর সাইকেল যোগে বেনাপোলের দিকে যেতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে শার্শা বাজারস্থ ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে ঢোকেন, সেখানে তিনি উত্তোলন কৃত টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেন,বাকি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ী ঝিকরগাছায় ফিরবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন,এমন সময় সেখানে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতার হওয়া ঐ তিন ছিনতাইকারী তাদের কাছে থাকা পিস্তল এর ভয় দেখিয়ে এবং ভিকটিম শিমুল হোসেন টুটুল কে বেধড়ক মারপিট করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
.
পরে শিমুল হোসেন টুটুল শার্শা থানায় অজ্ঞাত ঐ তিনজনের নাম দিয়ে একটি ছিনতাই এর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৩(২)২০২১।
.
ছিনতাই এর বিষয়টি যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার,বিপিএম(বার),পিপিএম এর নজরে গেলে তিনি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং শার্শা থানাকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বলেন। জেলা পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাহ উদ্দীন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল, গোলাম  রব্বানী শেখ, পিপিএম, যশোরদ্বয়ের  সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/ শামীম হোসেন সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি চৌকস টিম ও শার্শা থানা পুলিশ  ইং ২৫/০২/২০১২১ তারিখ রাত ২টা থেকে ভোর ৪ ঘটিকার মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবারবেড়গ্রাম ও বড় আঁচড়া গ্রাম থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
.
সে সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাই হওয়া ৭৮০০০০/=  টাকার  মধ্যে ৭৬৪০০০/=  টাকা সুজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি নোমানের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়।
.
ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল ( রেজিঃ বিহীন) জব্দ করা হয়। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের নিকট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে মর্মে স্বীকার করলে পুনরায় ইং২৫/০২/২০২১ তারিখ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় সাকিনে আসামী নোমানোর বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজনের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১টি ওয়ান শুটারগান পিস্তল জব্দ করা হয়।
.
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বেনাপোল পোর্ট থানায় এসআই(নিঃ) শামীম হোসেন বাদী হয়ে ছিনতাই কারীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে মামলা রুজু করেন।
.
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ সুজন (২৫), আনোয়ার (২৫), মোঃ নোমান (১৯)।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বেনাপোলে ৮ লাখ টাকা,মটর সাইকেল,ও পিস্তলসহ ৩ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

Update Time : ১০:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
মো: সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):
যশোর জেলা পুলিশ সুপারের দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তায় শার্শা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত না হতেই ছিনতাইকৃত ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা,১ টি ওয়ান শুটারগান এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মটর সাইকেল সহ তিনজন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে শার্শা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা।
.
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিমুল হোসেন টুটুল পিতা:-খলিলুর রহমান শার্শা উপজেলাধীন নাভারন বাজারস্থ ডাচ্ বাংলা এজেন্ট স্টল থেকে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সেখান থেকে তিনি নিজ মটর সাইকেল যোগে বেনাপোলের দিকে যেতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে শার্শা বাজারস্থ ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে ঢোকেন, সেখানে তিনি উত্তোলন কৃত টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেন,বাকি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ী ঝিকরগাছায় ফিরবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন,এমন সময় সেখানে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতার হওয়া ঐ তিন ছিনতাইকারী তাদের কাছে থাকা পিস্তল এর ভয় দেখিয়ে এবং ভিকটিম শিমুল হোসেন টুটুল কে বেধড়ক মারপিট করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
.
পরে শিমুল হোসেন টুটুল শার্শা থানায় অজ্ঞাত ঐ তিনজনের নাম দিয়ে একটি ছিনতাই এর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৩(২)২০২১।
.
ছিনতাই এর বিষয়টি যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার,বিপিএম(বার),পিপিএম এর নজরে গেলে তিনি যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং শার্শা থানাকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বলেন। জেলা পুলিশের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাহ উদ্দীন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল, গোলাম  রব্বানী শেখ, পিপিএম, যশোরদ্বয়ের  সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/ শামীম হোসেন সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি চৌকস টিম ও শার্শা থানা পুলিশ  ইং ২৫/০২/২০১২১ তারিখ রাত ২টা থেকে ভোর ৪ ঘটিকার মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবারবেড়গ্রাম ও বড় আঁচড়া গ্রাম থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
.
সে সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাই হওয়া ৭৮০০০০/=  টাকার  মধ্যে ৭৬৪০০০/=  টাকা সুজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি নোমানের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়।
.
ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি পালসার মোটরসাইকেল ( রেজিঃ বিহীন) জব্দ করা হয়। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের নিকট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে মর্মে স্বীকার করলে পুনরায় ইং২৫/০২/২০২১ তারিখ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় সাকিনে আসামী নোমানোর বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজনের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১টি ওয়ান শুটারগান পিস্তল জব্দ করা হয়।
.
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বেনাপোল পোর্ট থানায় এসআই(নিঃ) শামীম হোসেন বাদী হয়ে ছিনতাই কারীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে মামলা রুজু করেন।
.
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ সুজন (২৫), আনোয়ার (২৫), মোঃ নোমান (১৯)।