যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নেসার উদ্দিন, সেক্রেটারী আতিকুর রহমান

  • Update Time : ০৮:২৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
  • / 438
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলনের ২০২১-২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাথমিক তিন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা মুহা. নেছার উদ্দীন। সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুর রহমান মুজাহিদ।এছাড়াও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলামকে।

আজ ২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকার কাকরাইলের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় যুব কনভেনশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) তাদের নাম ঘোষণা করেন ও শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর আগে সংগঠনটির দুই সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলে কেএম আতিকুর রহমান। যিনি এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। আজ নতুন সভাপতির হাতে দায়িত্ব অর্পনের মাধ্যমে যুব আন্দোলনের কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।

সদ্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেসার উদ্দিন দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন গত দুই সেশন। এছাড়াও সদ্য নির্বাচিত সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে –এই তিনজনের হাত ধরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকা ঘোষণা করা হবে দ্রুততম সময়ে।

  • কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নেসার উদ্দীন ইসলামী যুব আন্দোলনসহ তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। ইসলামি রাজনীতিতে যিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ও অভিজ্ঞ। তার হাত ধরে ইসলামী যুব আন্দোলন আরও গতিবেগ পাবে বলে মতামত বিশ্লেষকদের।

যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে আদর্শবান যুবক ছাড়া সম্ভব নয়। তাই দেশের সঙ্কট মোকাবেলায় যুবকদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সা. আদর্শবান যুবকদের জন্য দোয়া করেছেন। দেশের সর্বস্তরে দলীয়করণের প্রভাব ও সরকারের ছত্রছায়ায় দিনদিন যুব সমাজ খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পরে দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

[প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।]

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকার পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় যুবসমাজকে নৈতিকভাবে চরিত্রবান করে গড়ে তুলে একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের জন্য দেশের প্রতিটি স্তরে ইসলামী যুব আন্দোলনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আন্দোলনের আমীর বলেন, আমার বিশ্বাস ইসলামী যুব আন্দোলনের হাত ধরেই আগামীর সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেএম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “যুব সমাজের উন্নয়নও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামই কর্যকর পন্থা’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে ৩য় জাতীয় যুব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

যুব কনভেনশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘গোটা দেশ এখন লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বালিশ, পর্দার ক্রয়ের নামে দেশের সম্পদ লুট করছে। তিনি বলেন, আমাদের যখন পেঁয়াজ দরকার তখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে আর ভরা মওসুমে পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। অপরদিকে ভ্যাকসিনের নামে ভারত আমাদেরকে কী উপহার দিয়েছে তা ভাববার বিষয়।

তিনি আরো বলেন, এদেশের যুব সমাজ আজ তাদের আত্মপরিচয় ভুলে যেতে বসেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদল সুবিধাভোগী ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় ইসলামী যুব আন্দোলন এদেশের যুবসমাজকে স্বীয় আত্মপরিচয়ে জাগ্রত করে প্রকৃত জনসম্পদে রূপান্তর করার কাজ করে যাচ্ছে।

কনভেনশনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, যুব আন্দোলন-এর ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মুফতী মানসুর আহমদ সাকীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। নাগরিক ও মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংসের মুখে। মানুষের নাগরিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়া করে নতুন কোন সংকট সৃষ্টি করবেন না। আল্লাহ তায়ালার দান জলবায়ু ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশে^র অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা মহামারি অবস্থা ভালোই আছে। এমতাবস্থায় ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি ও বাণিজ্যিকীকরণের অপরাজনীতি সহ্য করা হবে না। বক্তারা আরো বলেন, বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার, তা নিয়ে ছিনিমিনি করা কিংবা চড়া মূল্য হাকানো সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনেরই নামান্তর। অপরদিকে নির্বাচনের নামে বারবার এক একটি নাটক মঞ্চস্থ করার দৃশ্য দেখে দেখে বাংলাদেশের মানুষ আজ চরমভাবে বিরক্ত। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে এদেশের মানুষের আস্থা শতভাগ হারিয়েছে বর্তমান সরকার। জনগণের মতামতের অধিকার হরণ করা কখনোই কোনো সরকারের জন্য শুভ নয়।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যুবসমাজ। বৈশ্বিক মহামারী কারণে কর্মসংস্থান হারিয়ে অপরাধপ্রবণ হয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছিল কেউ কেউ। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো সরকার তাদের পূনর্বাসনের জন্য কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। ইসলামী যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যের সবটুক দিয়ে যুবসমাজের পাশে দাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নেসার উদ্দিন, সেক্রেটারী আতিকুর রহমান

Update Time : ০৮:২৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলনের ২০২১-২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাথমিক তিন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা মুহা. নেছার উদ্দীন। সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুর রহমান মুজাহিদ।এছাড়াও সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলামকে।

আজ ২২ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকার কাকরাইলের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় যুব কনভেনশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) তাদের নাম ঘোষণা করেন ও শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর আগে সংগঠনটির দুই সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলে কেএম আতিকুর রহমান। যিনি এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। আজ নতুন সভাপতির হাতে দায়িত্ব অর্পনের মাধ্যমে যুব আন্দোলনের কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।

সদ্য নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেসার উদ্দিন দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন গত দুই সেশন। এছাড়াও সদ্য নির্বাচিত সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে –এই তিনজনের হাত ধরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকা ঘোষণা করা হবে দ্রুততম সময়ে।

  • কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া নেসার উদ্দীন ইসলামী যুব আন্দোলনসহ তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। ইসলামি রাজনীতিতে যিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ও অভিজ্ঞ। তার হাত ধরে ইসলামী যুব আন্দোলন আরও গতিবেগ পাবে বলে মতামত বিশ্লেষকদের।

যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে আদর্শবান যুবক ছাড়া সম্ভব নয়। তাই দেশের সঙ্কট মোকাবেলায় যুবকদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সা. আদর্শবান যুবকদের জন্য দোয়া করেছেন। দেশের সর্বস্তরে দলীয়করণের প্রভাব ও সরকারের ছত্রছায়ায় দিনদিন যুব সমাজ খুন, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পরে দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

[প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম।]

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও বিদেশে টাকার পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এমতাবস্থায় যুবসমাজকে নৈতিকভাবে চরিত্রবান করে গড়ে তুলে একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের জন্য দেশের প্রতিটি স্তরে ইসলামী যুব আন্দোলনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আন্দোলনের আমীর বলেন, আমার বিশ্বাস ইসলামী যুব আন্দোলনের হাত ধরেই আগামীর সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেএম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “যুব সমাজের উন্নয়নও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামই কর্যকর পন্থা’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে ৩য় জাতীয় যুব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

যুব কনভেনশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘গোটা দেশ এখন লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বালিশ, পর্দার ক্রয়ের নামে দেশের সম্পদ লুট করছে। তিনি বলেন, আমাদের যখন পেঁয়াজ দরকার তখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে আর ভরা মওসুমে পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। অপরদিকে ভ্যাকসিনের নামে ভারত আমাদেরকে কী উপহার দিয়েছে তা ভাববার বিষয়।

তিনি আরো বলেন, এদেশের যুব সমাজ আজ তাদের আত্মপরিচয় ভুলে যেতে বসেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদল সুবিধাভোগী ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় ইসলামী যুব আন্দোলন এদেশের যুবসমাজকে স্বীয় আত্মপরিচয়ে জাগ্রত করে প্রকৃত জনসম্পদে রূপান্তর করার কাজ করে যাচ্ছে।

কনভেনশনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, যুব আন্দোলন-এর ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মুফতী মানসুর আহমদ সাকীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। নাগরিক ও মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংসের মুখে। মানুষের নাগরিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়া করে নতুন কোন সংকট সৃষ্টি করবেন না। আল্লাহ তায়ালার দান জলবায়ু ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশে^র অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনা মহামারি অবস্থা ভালোই আছে। এমতাবস্থায় ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি ও বাণিজ্যিকীকরণের অপরাজনীতি সহ্য করা হবে না। বক্তারা আরো বলেন, বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার, তা নিয়ে ছিনিমিনি করা কিংবা চড়া মূল্য হাকানো সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনেরই নামান্তর। অপরদিকে নির্বাচনের নামে বারবার এক একটি নাটক মঞ্চস্থ করার দৃশ্য দেখে দেখে বাংলাদেশের মানুষ আজ চরমভাবে বিরক্ত। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে এদেশের মানুষের আস্থা শতভাগ হারিয়েছে বর্তমান সরকার। জনগণের মতামতের অধিকার হরণ করা কখনোই কোনো সরকারের জন্য শুভ নয়।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যুবসমাজ। বৈশ্বিক মহামারী কারণে কর্মসংস্থান হারিয়ে অপরাধপ্রবণ হয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাড়িয়েছিল কেউ কেউ। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো সরকার তাদের পূনর্বাসনের জন্য কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। ইসলামী যুব আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা সাধ্যের সবটুক দিয়ে যুবসমাজের পাশে দাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।