পাকা ঘরে বাস করবো কোনোদিন ভাবিনি নবাবগঞ্জের কাজলী মর্মূ

  • Update Time : ১০:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / 147

সোবহান আলম,নবাবগঞ্জ:

মানুষের বাড়ীতে দিমুজুরের কাজ করে খাইতে পাই না,আর পাকাবাড়ী,কোনদিন ভাবিনি পাকা ঘরে বসবাস করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে ঘর দিল এতে আমি খুব খুশি। দুই রুমের এই ঘরে পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো, বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দিনাজপুর নবাবগঞ্জের ঘর পাওয়া ভূমিহীন কাজলী মর্মূ।

তিনি উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের বারন মর্মূ মেয়ে। তিনি বলেন, বৃষ্টি আসলে এখন আর পলিথিন ঠিক করতে হবে না। না ঘুমিয়ে এক জায়গায় বসেও থাকতে হবে না।

২ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেড় শতাংশের উপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি কক্ষ একটি রান্নার জায়গা ও একটি টয়লেট। নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। টিনসেডের সেমি পাকা ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ভোবটগাড়ীতে তিন সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ৩১টি ঘর। সবুজ টিনসেডে অন্যরকম এক ধরনের সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে।

ঘর বরাদ্দ পাওয়া কাজলী মর্মূ বলেন, ‘কোন জমি-জমা নাই। আমার জন্মের কয়েক বছর পরে আমার মারা মারা যায়, আমার মা ভিক্ষা করে আমাকে লালন পালন করেন, সাত আট বছর বয়সে আমি জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা গাজীপুরে অন্যেও বাড়ীতে কাজ করি। এরমধ্যে আমার উপজেলার জাহানপুর গ্রামের বাবলু হেমরনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের ৫বছর পরে তার সাথে আমাকে বিচ্ছেদ হয়। আমার দুই সন্তানের মধ্যে এক সস্তানকে নিয়ে রাস্তার পাশে, বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে থাকতাম। আজ এ জায়গায়, কাল অন্য জায়গায় থাকতাম। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন ২০১৭ সাল থেকে ধাপে ধাপে যাচাইবাচাই করে প্রকৃত পক্ষে যারা ঘর পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ২২৬টি ঘর। নির্মাণ শেষের দিকে আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই যাদের নামে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পাকা ঘরে বাস করবো কোনোদিন ভাবিনি নবাবগঞ্জের কাজলী মর্মূ

Update Time : ১০:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

সোবহান আলম,নবাবগঞ্জ:

মানুষের বাড়ীতে দিমুজুরের কাজ করে খাইতে পাই না,আর পাকাবাড়ী,কোনদিন ভাবিনি পাকা ঘরে বসবাস করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে ঘর দিল এতে আমি খুব খুশি। দুই রুমের এই ঘরে পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো, বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দিনাজপুর নবাবগঞ্জের ঘর পাওয়া ভূমিহীন কাজলী মর্মূ।

তিনি উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের বারন মর্মূ মেয়ে। তিনি বলেন, বৃষ্টি আসলে এখন আর পলিথিন ঠিক করতে হবে না। না ঘুমিয়ে এক জায়গায় বসেও থাকতে হবে না।

২ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেড় শতাংশের উপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি কক্ষ একটি রান্নার জায়গা ও একটি টয়লেট। নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। টিনসেডের সেমি পাকা ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ভোবটগাড়ীতে তিন সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ৩১টি ঘর। সবুজ টিনসেডে অন্যরকম এক ধরনের সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে।

ঘর বরাদ্দ পাওয়া কাজলী মর্মূ বলেন, ‘কোন জমি-জমা নাই। আমার জন্মের কয়েক বছর পরে আমার মারা মারা যায়, আমার মা ভিক্ষা করে আমাকে লালন পালন করেন, সাত আট বছর বয়সে আমি জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা গাজীপুরে অন্যেও বাড়ীতে কাজ করি। এরমধ্যে আমার উপজেলার জাহানপুর গ্রামের বাবলু হেমরনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের ৫বছর পরে তার সাথে আমাকে বিচ্ছেদ হয়। আমার দুই সন্তানের মধ্যে এক সস্তানকে নিয়ে রাস্তার পাশে, বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে থাকতাম। আজ এ জায়গায়, কাল অন্য জায়গায় থাকতাম। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন ২০১৭ সাল থেকে ধাপে ধাপে যাচাইবাচাই করে প্রকৃত পক্ষে যারা ঘর পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ২২৬টি ঘর। নির্মাণ শেষের দিকে আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই যাদের নামে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।