নীলফামারীতে গৃহ প্রদান উপলক্ষে মত বিনিময়

  • Update Time : ০৮:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / 127
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে নীলফামারী জেলায় ১ম পর্যায়ে ৬৩৭টি “ক” শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক জমি ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা বসতঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
.
উক্ত গৃহগুলো আগামী ২৩ জানুয়ারি শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদেরকে উপহার হিসেবে প্রদানের উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
ব্রিফিং কালে জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশে একযোগে “ক” শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিশেষ উপহার গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করবেন।
.
আমাদের জেলার সৈয়দপুর প্রান্তে তিনি সংযুক্ত থাকবেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নীলফামারীর ৬ উপজেলায় খাস জমি খুঁজে গৃহনির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করেছে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন। আর নিয়মিত তদারকি করেছি আমি ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার।
.
No description available.
.
নীলফামারী সদর উপজেলায় ৯৯টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি, জলঢাকা উপজেলায় ১৪১টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি, ডোমার উপজেলায় ৩৮টি এবং কিশোরগঞ্জে ১৪০টি বসতঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ জমির উপর এসব ঘর হবে ২ কক্ষ বিশিষ্ট সাথে বারান্দা, বাথরুম ও রান্নাঘর।প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে।এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন বাবদ ৪ হাজার টাকা।
.
তিনি আরো বলেন, যাদের কোন জমি নেই ভিক্ষুক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা এমন উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। যেসব জায়গায় এই ঘর নির্মাণ হচ্ছে সেখানে বাড়তি সুযোগ সুবিধার জন্য একটি করে নামাজের জায়গা রেখেছি। কোনখানে কবরস্থান ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছি। ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদের নানাধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে স্বাবলম্বী করার জন্য।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হাসান বেগ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আক্তার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেন এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে গৃহ প্রদান উপলক্ষে মত বিনিময়

Update Time : ০৮:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে নীলফামারী জেলায় ১ম পর্যায়ে ৬৩৭টি “ক” শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতক জমি ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা বসতঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
.
উক্ত গৃহগুলো আগামী ২৩ জানুয়ারি শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদেরকে উপহার হিসেবে প্রদানের উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
.
ব্রিফিং কালে জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সারাদেশে একযোগে “ক” শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিশেষ উপহার গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করবেন।
.
আমাদের জেলার সৈয়দপুর প্রান্তে তিনি সংযুক্ত থাকবেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নীলফামারীর ৬ উপজেলায় খাস জমি খুঁজে গৃহনির্মাণের কাজটি বাস্তবায়ন করেছে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন। আর নিয়মিত তদারকি করেছি আমি ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার।
.
No description available.
.
নীলফামারী সদর উপজেলায় ৯৯টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি, জলঢাকা উপজেলায় ১৪১টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি, ডোমার উপজেলায় ৩৮টি এবং কিশোরগঞ্জে ১৪০টি বসতঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ জমির উপর এসব ঘর হবে ২ কক্ষ বিশিষ্ট সাথে বারান্দা, বাথরুম ও রান্নাঘর।প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লাক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে।এছাড়াও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন বাবদ ৪ হাজার টাকা।
.
তিনি আরো বলেন, যাদের কোন জমি নেই ভিক্ষুক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা এমন উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। যেসব জায়গায় এই ঘর নির্মাণ হচ্ছে সেখানে বাড়তি সুযোগ সুবিধার জন্য একটি করে নামাজের জায়গা রেখেছি। কোনখানে কবরস্থান ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছি। ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদের নানাধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে স্বাবলম্বী করার জন্য।
.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হাসান বেগ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আক্তার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেন এবং সাংবাদিকবৃন্দ।